টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার-১২ এর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০৪ রানে হারিয়ে দিয়ে রেকর্ড বুকে নাম তুলল দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিকার এটাই প্রথম জয়। এই জয়ে গ্রুপ 2-এ পয়েন্ট টেবিলে কিছুক্ষণের জন্য শীর্ষে উঠে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ভারত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছিল।
এই দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২০৫ রান করে রিলি রোসোর দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সুবাদে। জবাবে বাংলাদেশ দল সবকটি উইকেট হারিয়ে, ১৬.৩ ওভারে করেছিল মাত্র ১০১ রান। এরফলে ১০৪ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর এই বিশাল জয় তাদের নেট রানের হারে উল্লেখযোগ্যভাবে যোগ করবে।
আরও পড়ুন… এখনও চালু করেনি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া- ভারতের আগে ক্রিকেটে সম বেতন দিয়েছে মাত্র একটি দেশ
এই বড় জয়ের ফলে ক্রিকেট বিশ্বে একটি বড় রেকর্ড গড়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকাই এমন দল যারা একাধিকবার ১০০-র বেশি রানে জিতেছে। এর আগে ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০০৯ রানে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এবার প্রায় ১৩ বছর পরে আবারও ১০০+ রানে জয় পেল প্রোটিয়া।
ম্যাচের কথা বললে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই রানে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর রাইলি রোসো ও ডি কক ১৬৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পিছনে ফেলে দেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় জুটি। ডি কক আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৩ রান করেন।অন্যদিকে রুসো তার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন,৫৬ বলে ৭টি চার ও আটটি ছক্কায় ১০৭ রান করেন। এটি ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি,অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে রিলি রোসোর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন… T20 WC 2022: আমাদের শুধু ব্যাটিং করে যেতে হবে...লজ্জার হারের পর আজব কথা শাকিবের
রোসো-ডি কক পার্টনারশিপ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৫ ওভারে ১৭৬ রানে পৌঁছে দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ২৯ রান যোগ করতে পারে কিন্তু বিস্ফোরক শুরুর জোরে, তারা ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে। যা ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোর। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ ওভারে ভালো শুরু করলেও তৃতীয় ওভারেই সৌম্য সরকার ও নাজমল হোসেনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দুই ওপেনারই তাড়াতাড়ি আউট হওয়ার পর দল আর ফিরতে না পারায় পঞ্চম ওভারে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অধিনায়ক শাকিব আল হাসানও। লিন্টন দাস একপ্রান্ত থেকে ইনিংস সামলালেও তিনিও ৩১ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। বাংলাদেশ দলের ৬ ব্যাটসম্যানও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। নরকিয়া মাত্র ১০ রানে চার উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের জয় নিশ্চিত করেন। এছাড়া তাবরেজ শামসি তিনটি এবং কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ একটি করে উইকেট নেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।