বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানের অবদান ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ব্যাটে-বলে দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা নেন শাদব খান। ব্যাট হাতে ইফতিকার আহমেদ ও বল হাতে শাহিন শাহ আফ্রিদিও পাকিস্তানের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
অথচ, টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান একসময় ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে নেয় ইফতিকার ও শাদবের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে।
বাবর আজম ১৫ বলে ৬ রান করে আউট হন। ৪ বলে ৪ রান করে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। শান মাসুদ ২ রান করে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগান। ২৮ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন মহম্মদ হ্যারিস। মহম্মদ নওয়াজের অবদান ২৮ রান।
ইফতিকার ৩৫ বলে ৫১ রান করে আউট হন। শাদব খান ২২ বলে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। খাতা খুুলতে পারেননি মহম্মদ ওয়াসিম। ৫ রান করে নট-আউট থাকেন নাসিম শাহ। ৩ রানের যোগদান রাখেন হ্যারিস রউফ।
আরও পড়ুন:- ICC POTM: প্লেয়ার অফ দ্য মনথ পুরস্কারের জন্য মনোনীত কোহলি, প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?
এনরিখ নরকিয়া ৪১ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন ওয়েন পার্নেল, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি ও তাবরাইজ শামসি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৬৯ রান তোলার পরে বৃষ্টিতে ম্যাচ বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। বৃষ্টির পরে পুনরায় ম্যাচ শুরু হলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের জন্য পরিবর্তিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৪ ওভারে ১৪২ রানের। শেষমেশ তারা ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১০৮ রানে আটকে যায়। পাকিস্তান ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৩৩ রানে ম্যাচ জেতে।
তেম্বা বাভুমা ৩৬, কুইন্টন ডি'কক ০, রিলি রসউ ৭, এডেন মার্করাম ২০, এনরিখ ক্লাসেন ১৫, ত্রিস্তান স্টাবস ১৮, ওয়েন পার্নেল ৩, কাগিসো রাবাদা ১, এনরিখ নরকিয়া ১, লুঙ্গি এনগিদি অপরাজিত ৪ ও তাবরাইজ শামসি অপরাজিত ১ রান করেন।
শাহিন আফ্রিদি ১৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। ১৬ রানে ২টি উইকেট দখল করেন শাদব খান। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফ ও মহম্মদ ওয়াসিম। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন শাদব খান।