এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘সুপার ১২’ একটি ম্যাচেও জয় আসেনি। তাও আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘সুপার ১২’-এ সরাসরি খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল বাংলাদেশ। তার ফলে এবারের মতো আর যোগ্যতা-অর্জন পর্বের বাধা টপকাতে হবে না।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী, সরাসরি আটটি দল ‘সুপার ১২’-এ সুযোগ পাবে। যোগ্যতা-অর্জন পর্ব থেকে বাকি চারটি দল উঠবে। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপ দল সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের ছাড়পত্র হবে। বাকি ছ'টি দল নির্ধারিত হবে ক্রমপর্যায়ের ভিত্তিতে। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত যে র্যাঙ্কিং থাকবে, তার ভিত্তিতে ছ'টি দল বেছে নেওয়া হবে।
তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে সুযোগ পাবে?
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে দুটি ফাইনালে উঠবে, তারাও সেই প্রথম আটের মধ্যেই আছে। ফলে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টির র্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বরে থাকলেই সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার টিকিট মিলবে। আপাতত টি-টোয়েন্টির র্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বর স্থানে আছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহের মূল লড়াইটা ছিল শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। কিন্তু দু'দলই ‘সুপার ১২’ থেকেই ছিটকে যাওয়ায় লাভ হয়েছে বাংলাদেশের।
কিন্তু এখনই কীভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশ উঠে গিয়েছে?
আগামী ১৫ নভেম্বর চূড়ান্ত দিন হলেও সেই সময়ের মধ্যে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে না। ফলে কোনও দলেরই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির সুযোগ নেই। বিশ্বকাপে যে ম্যাচ বাকি আছে, তাতে টি-টোয়েন্টির র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম আটেই থাকবে বাংলাদেশ। তাই আগামী বিশ্বকাপে শাকিব আল হাসানদের আর যোগ্যতা-অর্জন পর্বের বাধা টপকাতে হবে না।