উইজের লড়াই কাজে এল না, UAE কাছে ৭ রানে হেরে মন ভাঙল নামিবিয়ার, ভারতের জন্য সুখবর

একটা সময়ে নামিবিয়ার পরাজয় নিশ্চিত বলে মনে হলেও ডেভিড উইজে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মাত্র ৩৬ বলে ৫৫ রান করেন এই ব্যাটার। শেষ ওভারে মাত্র ১৪ রান দরকার ছিল। ডেভিড উইজে আউট হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত নামিবিয়া মাত্র ১৪১ রান করার পরে ৭ রানে ম্যাচ হেরে যায়।

ডেভিড উইজের লড়াই কাজে এল না (ছবি-এএফপি)

২০২২ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের গ্রুপ ‘এ’ ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল। এই গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সুপার ১২ রাউন্ডে পৌঁছে গেল নেদারল্যান্ডস। আসলে এই গ্রুপের শেষ ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত হতে পারেননি যে কোন দল পরের রাউন্ডে উঠবে। এর সৌজন্যে ছিলেন নামিবিয়ার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ডেভিড উইজে। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিস্ময় করার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল নামিবিয়ার। রাউন্ড 1 এর তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে, নামিবিয়া খুব ক্লোস ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমির শাহির কাছে সাত রানে হেরে যায়। তাদের সুপার-12 যাওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়। এর মাধ্যমে সুপার-১২ তে জায়গা করে নেয় শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস। নামিবিয়ার পরাজয় ভারতের জন্যও সুখবর বয়ে এনেছে। কারণ শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দলের পরিবর্তে নেদারল্যান্ডস দল সুপার-12-এ ভারতের সঙ্গে গ্রুপ-2-তে থাকবে।

২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জিলং-এ গ্রুপ এ ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে শ্রীলঙ্কা নেদারল্যান্ডসকে পরাজিত করে সুপার-12-এ তাদের স্থান নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু চোখ ছিল ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে নাকি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের গ্রুপে থাকবে শ্রীলঙ্কা। এর জন্য নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমির শাহির ম্যাচের দিকে সকলের নজর ছিল। এখানে নামিবিয়ার জয় তাদের গ্রুপে প্রথম স্থানে নিয়ে যেতে পারত, যেখানে এখানে হারলে নেদারল্যান্ডসকে সুপার-১২ দ্বিতীয় স্থানে পাঠিয়ে দিত।

এই অঙ্ক সামনে রেখে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল নামিবিয়া ও UAE. এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সংযুক্ত আরব আমির শাহি। নামিবিয়ার সেরা বোলিংয়ের সামনে, সংযুক্ত আরব আমির শাহি খুব ধীরে শুরু করেছিল এবং এটি শেষ পর্যন্ত দলের স্কোরে প্রভাব ফেলেছিল। ওপেনার মহম্মদ ওয়াসিম সর্বোচ্চ ৫০ রান করলেও তাঁর ইনিংস ছিল মন্থর। শেষ দিকে ক্যাপ্টেন রিজওয়ান ২৯ বলে ৪৩ রান, বাসিল হামিদ ১৪ বলে ২৫ রান করে দলকে ১৪৮ রানে নিয়ে যান।

জবাবে, নামিবিয়ার পরিস্থিতি শুরু থেকেই খারাপ ছিল এবং অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস সহ পুরো টপ এবং মিডল অর্ডার খারাপভাবে কেঁপে ওঠে। ১৩তম ওভার পর্যন্ত নামিবিয়া মাত্র ৬৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল। এখান থেকে নামিবিয়ার পরাজয় নিশ্চিত বলে মনে হলেও ডেভিড উইজে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং শেষ পর্যন্ত দয়ের আশা জাগিয়েছে রেখেছিলেন। মাত্র ৩৬ বলে ৫৫ রান করেন এই ব্যাটার। শেষ ওভারে মাত্র ১৪ রান দরকার ছিল, কিন্তু এখানে ডেভিড উইজে আউট হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত নামিবিয়া মাত্র ১৪১ রান করার পরে ৭ রানে ম্যাচ হেরে যায়।