টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ওমান। মজার বিষয়, ২০২০ সালে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ১০ উইকেটে জিতেছিল ওমান। স্বাভাবিক ভাবেই ক্রিকেট মহলে জোর গুঞ্জন, ১০ উইকেটে জেতাটাই বোধহয় অভ্যেসে পরিণত করে ফেলল ওমান!
এখানেই শেষ নয়। এই গল্পে রয়েছে আরও টুইস্ট। এই দুই ম্যাচে ১০ উইকেটে জেতা ছাড়াও ঠিক ১৩০ রান তাড়া করেছে ওমান। দু'টি ম্যাচেই ওমানের তারকা বোলার বিলাল খান ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট করে নিয়েছেন।
যাই হোক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওমান যে পাপুয়া নিউ গিনিকে হেলায় হারাবে, সেটা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য জ্যোতিষী হওয়ারও প্রয়োজন নেই। যদি সেটা না হত, তা হলে বরং বিশ্বকাপের মঞ্চে অঘটন ঘটত। যাই হোক যেমনটা আশা করা হয়েছিল, ঠিক তেমন ভাবেই ৩৮ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ওমান। আর এই জয়ের পিছনে বড় হাত রয়েছে পঞ্জাবের জতিন্দর সিং-এর।
টসে জিতে পাপুয়া নিউ গিনিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ওমান। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৯ রান করে তারা। পাপুয়া নিউ গিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা ৪৩ বলে ৫৬ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন। চার্লস আমিনি ২৬ বলে ৩৭ রান করেন। বাকিরা কেউ ১৫ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। ওমানের জিশান মাকসুদ ৪ উইকেট নিয়েছেন। বিলাল খান এবং কালিমুল্লাহ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওমানের দুই ওপেনারই এই রান তুলে দেন। দুই জনেই অর্ধশতরান করেন। আকিব লিয়াস ৪৩ বলে ৫০ রান করেছেন। আর ৪২ বলে ৭৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন জতিন্দর সিং। পঞ্জাব কা পুত্তরের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রাও। দুই ওপেনারই ১৩.৪ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৩১ রান করে। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ওমান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।