এ যেন অনেকটা রুপকথার গল্প। ২২ গজে না জানি কত অঘটন ঘটে। তবে ৩৭ বছর বয়সেও দাপটের সঙ্গে প্রত্যার্তন? গল্প নয়, খাঁটি সত্যি। দীনেশ কার্তিক যে ভাবে ৩৭ বছর বয়সেও ভারতীয় দলে ফিরে এসেছেন, তাতে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। অনেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই ভেবে নিয়েছিলেন যে, দীনেশের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছেন কার্তিক। সেই সঙ্গে ৩৭ বছর ১৪৪ দিন বয়সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে গড়ে ফেললেন নতুন নজিরও।
রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীনেশ কার্তিক উইকেটকিপিং করতে নামার সময়েই নতুন রেকর্ড করে ফেললেন। পূর্ণ-সদস্য দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বুড়ো উইকেটকিপার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার নজির গড়লেন তিনি। এতদিন এই নজির ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। তিনি ২০১৪ সালে ৩৬ বছর ১৬১ দিন বয়সে এই নজির গড়েছিলেন। তাও ভারতের বিরুদ্ধে। ওই বছরই আবার ব্র্যাড হ্যাডিন ৩৬ বছর ১৬০ দিন বয়সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উইকেটকিপিং করেছিলেন। তবে রবিবার সকলকে ছাপিয়ে গেলেন কার্তিক।
আরও পড়ুন: WC-এ খোঁজ মিলল প্রথম কোভিড আক্রান্তের, লঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচও খেললেন আইরিশ তারকা
২০২২ আইপিএল জীবনটাই পাল্টে দিয়েছে ভারতীয় উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিকের। মাঝে দীর্ঘ সময় ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন তিনি। কবে অবসর ঘোষণা করবেন ডিকে, সেই অপেক্ষাতেই ছিল ক্রিকেট মহল। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন কার্তিক। তার পরেই আইপিএল ২০২২-এ আরসিবির হয়ে একাধিক ম্যাচ উইনিং ইনিংস তাঁকে ফিরিয়ে আনে ক্রিকেটের মূল স্রোতে।
আইপিএলের ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদেই ভারতীয় দলেও কামব্যাক করেন কার্তিক। সীমিত সুযোগে নিজেকে প্রমাণও করেন। ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন ডিকে। তার পর ১৫ বছরের ব্যবধান। ফের একবার বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন কার্তিক।
গত কয়েকটি সিরিজে ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কার্তিককে। ঋষভ পন্ত থাকার পরেও কার্তিকের উপর ভরসা করেছেন রোহিত। বিশ্বকাপের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কার্তিকই তাঁর দলের ফিনিশার। কার্তিকের এই কামব্যাক যে কোনও মানুষের কাছে বড় শিক্ষা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।