বাটলারের শতরানের সৌজন্যে বাজিমাত মর্গ্যানদের, WC-এর সেমিতে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড

জোস বাটলার যেমন ইংল্যান্ডকে ১৬৩ রানে পৌঁছতে সাহায্য করেছেন, তেমন বোলাররাও দুরন্ত ছন্দে ১৩৭ রানে অল আউট করে দেন শ্রীলঙ্কাকে। এ দিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা একা লড়াই করে গেলেন। কিন্তু তাঁকে সঙ্গেত করলেন না শ্রীলঙ্কার কোনও প্লেয়ারই। ২৬ রানের হেরে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেল শ্রীলঙ্কা।

জোস বাটলার।

দুরন্ত ছন্দে টানা চার ম্যাচে জয় পেল ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে তারা পৌঁছে গেল এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারে। সোমবার অসাধারণ ছন্দে ৬৭ বলে ১০১ রান করেন জোস বাটলার। তাঁর সেঞ্চুরির সৌজন্যেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। অনেক বিশেষজ্ঞই বলতে শুরু করেছেন, ইংল্যান্ড এ রকম ছন্দে থাকলে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর  এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। এ দিকে এ দিন ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেল শ্রীলঙ্কা।

এ বারের বিশ্বকাপে সাধারণত টসে জিতলে পরে ব্যাটিং নিয়ে বেশির ভাগ টিমই জয় পাচ্ছে। সেই হিসেবে শ্রীলঙ্কার এ দিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। কিন্তু এ দিন সব হিসেব উল্টে দেন জোস বাটলার। ওপেন করতে নেমে একা দায়িত্ব নিয়ে ইংল্যান্ডকে ভাল জায়গায় নিয়ে যান ব্রিটিশ উইকেটকিপার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান।

একটা সময়ে ৩৫ রানে ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে একেবারে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দুরন্ত লড়াই চালান বাটলার আর মর্গ্যান। বাকি দশ ওভারে ১১৬ রান হয় ইংল্যান্ডের। প্রথম দশ ওভারে যেখানে ইংল্যান্ডের রানরেট পাঁচের নীচে ছিল, সেখানে শেষ দশ ওভারে দশের উপর রানরেট রাখেন বাটলার এবং মর্গ্যান জুটি। 

ওপেন করতে নেমে অপরজিত থেকে দুরন্ত একটি শতরান করেন বাটলার। ৬৭ বলে ১০১ রান করেন তিনি। ৩৬ বলে ৪০ রান করেন মর্গ্যান। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।  ইংল্যান্ডের ১৬৩ রানের মধ্যে বাটলারই করেছেন ১০১ রান। আর ইয়ন মর্গ্যান করেছেন ৪০ রান। বাকিরা মিলে করেছেন মাত্র ২২ রান।

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এ দিন ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দুশমন্ত চামেরা ১ উইকেট নিয়েছেন। তবে হাসারাঙ্গার ভাল বোলিং সত্ত্বেও ইংল্যান্ডকে আটকাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দলের ১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে শ্রীলঙ্কার। এর পর ২৪, ৩৪, ৫৭, ৭৬- টানা উইকেট হারাতে থাকে তারা। সে ভাবে কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি। সেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাই ব্যাট হাতে একা চেষ্টা করেছিলেন ২১ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। এটাই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ স্কোর। ব্যাট এবং বল হাতে দুরন্ত ছন্দে থাকলেও নিজের টিমকে বাঁচাতে পারেননি ওয়ানিন্দু। ১ ওভার বাকি থাকতেই ১৩৭ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২৬ রানে হেরে যায় দাসুন শানাকার টিম।