উদ্বোধনী টি-২০ বিশ্বকাপে যখন প্রথমবার মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান, ম্যাচ টাই হলে বোল-আউটে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফলাফল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেই ম্যাচে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামা দীনেশ কার্তিক বোল-আউটে বল করতে চেয়েছিলেন। যদিও ক্যাপ্টেন ধোনি তাঁর উপর আস্থা রাখেননি। জহুরির চোখ যাঁদের বোল-আউটের জন্য বেছে নেয়, তাঁরা সকলেই ক্যাপ্টেনের আস্থার মর্যাদা রাখেন।
স্বাভাবিকভাবেই দলকে জেতাতে সেদিন ক্যাপ্টেন ধোনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই মন্তব্য করলেন কার্তিক। ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে আইসিসির এক আলোচনাচক্রে কার্তিক স্মৃতিচারণ করেন ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের বোল-আউটে জেতা ম্যাচটি নিয়ে। সেখানেই তিনি জানান যে, তিনি বোল-আউটের সময় বল করতে আগ্রহী ছিলেন। তবে ধোনি তাঁদেরকেই বল করার জন্য মনোনীত করেন, যাঁরা বোল-আউটের সম্ভাবনার কথা ভেবে নেটে বল করা অনুশীলন করেছিলেন।
কার্তিক বলেন, ‘টি-২০ ফর্ম্যাটটা তখন নতুন ছিল। আমি প্রত্যেকটা বলেই শট নিতে চাইছিলাম। ম্যাচের সেরা মুহূর্ত ছিল সুপার ওভার। যদিও তখন সেটাকে বোল-আউট বলা হতো। সেই ম্যাচে অংশ নেওয়া ছিল দারুণ বিষয়। ধোনির ক্যাপ্টেন্সি কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিক ছিল সেটা। তবে লো-স্কোরিং ম্যাচে দারুণ নেতৃত্ব দেয় ও। ধোনির ঠান্ডা মাথাই ম্যাচ জেতায় আমাদের।'
পরে কার্তিক আরও বলেন, ‘(বোল-আউটের সময়) আমি বলেছিলাম প্লিজ আমাকে বল দাও। তবে ধোনি তাদেরকেই বল করতে দেয়, যারা প্র্যাক্টিস করেছিল। আসলে বোল-আউটের সম্ভাবনার কথা ভেবে নিতান্ত মজার ছলে হলেও ওই তিনজন প্র্যাক্টিস করেছিল। তাই আমি বল করতে চাইলেও ধোনি সেদিন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’
উল্লেখ্য, ধোনি সেদিন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, হরভজন সিং, রবিন উথাপ্পা, এস শ্রীসন্ত ও ইরফান পাঠানকে মনোনীত করেন বোল আউটের জন্য। সেহওয়াগ, হরভজন ও উথাপ্পা প্রথম তিনটি বল করতে আসেন। তিনজনেই বল স্টাম্পে লাগিয়ে দেন। পাকিস্তানের হয়ে আরাফত, গুল ও আফ্রিদি, তিনজনের কেউই স্টাম্পে বল লাগাতে পারেননি। ফলে ভারত ৩-০ ব্যবধানে বোল-আউট জিতে ম্যাচের দখল নেয়। বাকিদের আর বল করার প্রয়োজন হয়নি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।