বিশ্বকাপ থেকে অস্ট্রেলিয়া ছিটকে যাওয়ার পর গালমন্দ করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে অস্ট্রেলিয়ার তারকার নিশানায় কে ছিলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এমনকী ম্যাক্সওয়েলের ‘টার্গেটের’ তালিকায় শ্রীলঙ্কা ছিল কিনা, তা নিয়েও জল্পনা চলছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে অস্ট্রেলিয়া ছিটকে যাবে কিনা, তা পুরোপুরি শ্রীলঙ্কা এবং ইংল্যান্ডের হাতে ছিল। শ্রীলঙ্কা যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিত, তাহলে 'সুপার ১২' পর্যায়ের ‘গ্রুপ ১’ থেকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাবে উঠে যেত। কিন্তু সেটা হয়নি। সিডনিতে ইংল্যান্ড জিতে যাওয়ায় ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রায় ইতি পড়ে গিয়েছে।
'সুপার ১২' পর্যায়ের ‘গ্রুপ ১’-তে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের সমান পয়েন্ট থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার নেট রানরেট এতটাই খারাপ ছিল যে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন ম্যাক্সওয়েলরা। তারপরই ম্যাক্সওয়েলের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক শব্দের ‘অশালীন’ শব্দ ভেসে ওঠে। যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেছেন ম্যাক্সওয়েল, তা অনেক ক্ষেত্রেই গালিগালাজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সেই পরিস্থিতিতে কাকে বা কাদের উদ্দেশ্য করে সেই 'অশালীন' শব্দ প্রয়োগ করেছেন ম্যাক্সওয়েল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তারইমধ্যে অনেকেই তাঁকে ট্রোল করেছেন। এক নেটিজেন বলেন, 'এটা স্বীকার করে নিন যে আপনাদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। নিজেদের ঘরের মাঠেই দাঁড়াতে পারেননি। দীর্ঘকালীন সময় জালিয়াতি এবং অহংকারের উপর ভর করে ম্যাচ জেতা যায় না। এই দলটা কখনও ভদ্র লোকেদের ছিল না। সকলে খারাপ নন। তবে অনেকেই খারাপ।' অপর একজন আবার বলেন, ‘বেশি করে কাঁদ।’
এমনিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা জিততে না পারায় অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ছিটকে গেলেও আদতে নিজেরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারার ফল ভুগছেন অজিরা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮৯ রানে হেরে যাওয়ায় নেট রানরেটের নিরিখে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে নেট রানরেটের যে চাপ থাকবে, তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল।
তবে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে অস্ট্রেলিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। গ্রুপ পর্যায়ের চতুর্থ ম্যাচে (যখন অজিরা জানতেন যে বিশ্বকাপের সেমিতে যেতে নেট রানরেট বাড়াতেই হবে) ২৪ রানের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের পাঁচ উইকেট ফেলে দিলেও দিনের শেষে পল স্টার্লিংদের ১৩৭ রান তুলতে দিয়েছিলেন অজিরা। জয় এসেছিল ৪২ রানে। একইরকমভাবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বড় জয়ের সুযোগ থাকলেও মাত্র পাঁচ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তার জেরেই নেট রানরেটের নিরিখে ইংল্যান্ডের পিছনে পড়ে যায়।