ওপেনে নেমে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন কিউয়ি ওপেনার ড্যারিল মিচেল। আর ম্যাচ জিতে উঠে ইনিংস চলাকালীন নিজের মানসিকতার বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন যে, সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়া করার সময় তাঁর কখনও মনে হয়নি যে ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। তিনি ব্যাখ্যা করে জানান যে যদিও স্কোরবোর্ডে সমীকরণটি শক্ত দেখাচ্ছিল, তাঁরা জানতেন যে ছোট বাউন্ডারি তাঁদের পক্ষে কাজ করতে পারে।
টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা পাকা করার জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬৭ রান তাড়া করতে নামা নিউজিল্যান্ড প্রয়োজনীয় রান রেট থেকে প্রাথমিক ভাবে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। ইনিংসের বেশির ভাগ সময় ধরেই মনে হচ্ছিল যে ইংল্যান্ডের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে কিউয়িরা। শেষ চার ওভারে যখন ৫৭ রান দরকার ছিল, সেই জেমস নিশাম নেমে খেলা ঘুরিয়ে দেন। ১১ বলে ২৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের মাধ্যমে নিশাম ইংল্যান্ডের বোলারদের পালটা চাপে ফেলেন। আর শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে সূক্ষ্ম তুলির টানে মিচেল (৪৭ বলে ৭২*) কিউয়িদের একটি স্মরণীয় জয় এনে দেন।
এই বিষয়ে ড্যারিল মিচেল ম্যাচ শেষ হলে পর বলেন, 'এটা সম্ভবত এখন অদ্ভুত শোনাবে, কিন্তু আমরা কখনও অনুভব করিনি যে ম্যাচটি আমাদের হাতের বাইরে ছিল। বিশেষ করে মাঠের একদিকে ছোট বাউন্ডারির থাকায় আমরা জানতাম যে ম্যাচ আপ হতে চলেছে যা শেষের দিকে আমাদের জন্য উপযুক্ত হবে। আমরা মাঝে ভাগ্যবানও ছিলাম, কয়েকটি বল কোনও রকমে বাউন্ডারি পার করেছিল। যদি সেই শটগুলো এক মিটারও কম দূর যেত, আমরা আউট হতে পারতাম। কিন্তু আমরা জানতাম যে যতক্ষণ আমরা প্রয়োজনীয় রান রেটের কাছাকাছি থাকি তাহলে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব। আমরা সবসময় একটি সুযোগের সন্ধানে ছিলাম। নিশাম যেভাবে এক ওভারে আধিপত্য বিস্তার করে তা সত্যিই আমাদের গতি নির্ধারণ করে দিয়েছিল।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।