১৯৯২ সাল। সে বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও আক্ষেপ রয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারাতে না পারর যন্ত্রণাটা উচ্ছ্বাসের মাঝেও কোথাও যেন বড় বেশি খোঁচা দিচ্ছিল। আসলে বিশ্বকাপের মঞ্চে যে ক'বার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে, একবারও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। রবিবারের আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের কাছে কখনও হারেনি ভারত। অবশেষে ১৩ বারের বার পাকিস্তানের একটি বড় যন্ত্রণায় মলম লাগালেন বাবর আজমের পাকিস্তান। রবিবার ভারতকে হারিয়ে লজ্জার পরিসংখ্যানের হাত থেকে মুক্তি পেল তারা। আর তাদের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খান।
ভারতকে হারানোর পর উচ্ছ্বসিত হয়ে ইমরান খান একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানটি টিমকে অনেক শুভেচ্ছা। বিশেষ করে বাবর আমজমকে। ও একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি রিজওয়ান এবং শাহিন আফ্রিদিও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে। দেশ তোমাদের জন্য গর্বিত।’
দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কী হবে! তাঁর মন যে এখনও পড়ে থাকে ২২ গজে। তাঁর রক্তে রয়েছে ক্রিকেট। তাই রবিবার সব কাজ ফেলে ভারত-পাকিস্তান মহারণ দেখতে বসে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
রবিবার টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই দলের ১ রানের মাথায় রোহিত শর্মাকে ফেরান শাহিন আফ্রিদি। ১ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তিনি। এর পর আফ্রিদি ফেরান কেএল রাহুলকে। তখন দলের রান মাত্র ৬। দলের ৩১ রানের মাথায় আউট হন সূর্যকুমার যাদব। একমাত্র বিরাট কোহলির ৪৯ বলে ৫৭ এবং ঋষভ পন্তের ৩০ বলে ৩৯ রানের সৌজন্যে ১৫১ রান করে ভারত। বিরাট, পন্ত ছাড়া বাকিরা কেউ ১৫ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে সহজে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ৫৫ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ রিজওয়ান। ৫২ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন বাবর আজম। ১৭.৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫২ রান করে নেয় পাকিস্তান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।