টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। তাও আবার ১০ উইকেটে হারের লজ্জা। রোহিত শর্মারা ফিরিয়ে আনলেন ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লজ্জার স্মৃতি। সে বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরে নিজেদের সম্মান খুইয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা। আর ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ৩৮২ দিন পর ফের ভারতীয় ক্রিকেটে ফিরল ১০ উইকেটে হারের লজ্জার স্মৃতি।
এ রকম ভাবে হারতে হবে বোধহয় ম্যাচের আগে স্বপ্নেও ভাবেননি রোহিতরা। হয়তো ইনিংসের বিরতিতেও এমন ভয়ানক কল্পনা করেননি। কিন্তু সেমিতে জেতা দূরের কথা, ভারতীয় বোলারদের হতশ্রী পারফরম্যান্স একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়ার যাবতীয় সম্ভ্রম। ১০ উইকেটে রোহিত শর্মার দলকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: পান্ডিয়াকে স্ট্রাইক দিতে রানআউট হয়ে বলিদান পন্তের,মান রাখলেন হার্দিকও
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান মিলে শেষ করে দিয়েছিল ভারতকে। আর লক্ষ্মীবারে দুই ব্রিটিশ ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস মিলে ভারতের সব মান-সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন। সামনে এনে দিলেন ভারতীয় টিমের কঙ্কালসার চেহারাটা। ভারতীয় দলের ১৬৮ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ১৬ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২৪ বল বাকি থাকতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৭০ রান করে ফেলে তারা।
ভারতীয় বোলারদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে জস বাটলার করেন ৪৯ বলে অপরাজিত ৮০ রান। অ্যালেক্স হেলস ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। প্রসঙ্গত, দুই দলই অর্থাৎ ২০২১ সালে পাকিস্তান এবং ২০২২ সালে ইংল্যান্ড কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে ১৫০-র উপর রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোনও দল চার ওভার বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নিচ্ছে, এমন নজির খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে এ দিন রীতিমতো ছেলেখেলা করল ব্রিটিশ বাহিনী। যে উইকেটে রোহিতরা রান তুলতে হিমশিম খেলেন, সেই পিচেই ইংল্যান্ডের দুই তারকা সুনামী বইয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন: T20I-তে চার হাজার রান করে ফেললেন কোহলি, গড়লেন বিশ্বরেকর্ড
বৃহস্পতিবার টসে হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে হার্দিকের ৩৩ বলে ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংসের হাত ধরেই কিছুটা মুখ রক্ষা হয় ভারতের। টিম ইন্ডিয়া নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান পৌঁছয়। হার্দিকের এই ইনিংসে রয়েছে চারটি চার এবং পাঁচটি ছয়। হার্দিক ছাড়া কোহলি করেছেন হাফসেঞ্চুরি। ৪০ বলে ৫০ করে আউট হন তিনি।
এর বাইরে বাকি ব্যাটারদের অবস্থা তথৈবচ। ওপেন করতে নেমে রোহিত শর্মা ২৮ বলে তাও কোনওক্রমে ২৭ করেন। আর এক ওপেনার কেএল রাহুল তো ৫ বলে ৫ করে আউট হয়ে যান। সূর্যকুমার যাদব ১০ বলে মাত্র ১৪ রান করেন। সেমিফাইনালে ভারতের প্রথম সারির তিন ব্যাটারই এ দিন ডুবিয়েছেন টিমকে। পরে ডোবালেন বোলাররা। তারা কোনও উইকেটই তুলে নিতে পারলেন না। আইসিসি টুর্নামেন্টে আরও একবার ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে মাথা নীচু করে দেশে ফিরতে হবে রোহিতদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।