সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। অথচ ভারতের দুই ওপেনার দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হলেন! সেমিতে চূড়ান্ত হতাশাজনক পারফরম্যান্স রোহিত শর্মা এবং কেএল রাহুলের। যেখানে পাকিস্তানের দুই ওপেনার সেমিতে জ্বলে উঠে দলকে ফাইনালে নিয়ে গেল, সেখানে ভারতের দুই ওপেনারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে রেগে লাল ক্রিকেট ভক্তরা।
১.৩ ওভারে ক্রিস ওকসের অফ স্টাম্পের বাইরে যাওয়া বলে অহেতুক খোঁচা মেরে বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কেএল রাহুল। তখন দলের রান মাত্র ৯। নিজে ৫ বলে ৫ করে আউট হন রাহুল। সুপার টুয়েলভের শেষ দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নেমেই দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে উইকেট ছুঁড়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন।
এর পর বিরাট কোহলি নামলে মনে করা হয়েছিল, রোহিত শর্মা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়বেন। কিন্তু রোহিতকে এতটুকু আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টি নয়, একদিনের ক্রিকেট খেলতে নেমেছেন। অনেক বল আছে, পরে রান করে পুষিয়ে নেবেন! আর যাইহোক টি-টোয়েন্টিতে স্লো ব্যাটিংয়ের জায়গা নেই। সেই রোহিতও ২৮ বলে কোনও মতে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন তিনিও। ৮.৫ ওভারে ক্রিস জর্ডনকে মারতে গিয়ে ভুল শট নির্বাচন এবং টাইমিং ভুল করে স্যাম কারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রোহিত। সঙ্গে নষ্ট করে গেলেন ২৮টি বল।
এ দিন সূর্যকুমার যাদবও ব্যর্থ হন। তিনি ১০ বলে মাত্র ১৪ করে সাজঘরে ফেরেন। সূর্যও মারতে গিয়ে ভুল টাইমিং করেন। আদিল রশিদের বলে পিল সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন স্কাই।
এ দিকে ভারতের হাল ধরেছিলেন একমাত্র বিরাট কোহলি। তবে তিনিও বাইরে যাওয়া বল খোঁচা মেরে আউট হন। তার আগে অবশ্য হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন বিরাট। জর্ডনের ওভারে ৪০ বলে ৫০ করে রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ভারতের প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে এ দিন তিন জনই ব্যর্থ হন। যার খেসারত কিন্তু দিতে হতে পারে টিম ইন্ডিয়াকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।