বিধ্বংসী মেজাজে থাকা হার্দিক পান্ডিয়াকে স্ট্রাইক দিতে এবং তাঁর উইকেট বাঁচাতে নিজেই রান-আউট হলেন ঋষভ পন্ত। এবং এটা করে তিনি গর্বিত। তাঁর কোনও আফসোসও ছিল না। আর হার্দিকও চেষ্টা করলেন পন্তের এই আত্মত্যাগের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার।
আরও পড়ুন: শুরুতেই আউট রাহুল, বল নষ্ট করে ফিরলেন রোহিত- ভিডিয়ো
ক্রিস জর্ডন শেষ ওভারে বল করছিলেন। ১৯.৩ ওভারে জর্ডনের বল মিস করেন স্ট্রাইকে থাকা পন্ত। ব্যাটে-বলে লাগেনি। এ দিকে হার্দিক রান নেওয়ার জন্য ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে অপর প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেটা দেখে পন্ত নিজের উইকেট উৎসর্গ করেন। রান নিয়ে আর নন-স্ট্রাইকিং জোনে পৌঁছতে পারবেন না জেনেও, উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে রানআউট হন তিনি।
যাতে আগুনে মেজাজে থাকা হার্দিক কোনও ভাবেই আউট না হন। এবং বাকি তিন বলে যাতে তিনি স্ট্রাইক নিয়ে বড় শট খেলতে পারেন। এতে আখেরে লাভ হবে ভারতেরই। সে কথা ভেবেই পন্ত নিজের উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তা না হলে হার্দিক সেই সময়ে আউট হয়ে যেতেন। পন্ত ৪ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
হার্দিক অবশ্য পন্তের এই আত্মত্যাগের মূল্য চোকানোর সব রকম চেষ্টা করেন। জর্জনের চতুর্থ বলে তিন প্রথমে ছক্কা হাঁকান। তার পরের বলে তুলে মেরেছিলেন। তবে বড় শট খেললেও, সেটা ছয় হয়নি। চার হয়ে যায়। তবে শেষ বল মারতে গিয়ে হিটউইকেট হয়ে যান হার্দিক। তা না হলে হয়তো ভারতোর স্কোর ১৭০ রানের গণ্ডি টপকে যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়া নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে।
টসে হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে হার্দিকের ৩৩ বলে ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংসের হাত ধরেই কিছুটা মুখ রক্ষা হয় ভারতের। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে চারটি চার এবং পাঁচটি ছয়। হার্দিক ছাড়া কোহলি করেছেন হাফসেঞ্চুরি। ৪০ বলে ৫০ করেন তিনি। এর বাইরে বাকি ব্যাটারদের দশা তথৈবচ। রোহিত ২৮ বলে ২৭ করেন। রাহুল ৫ বলে ৫ করে আউট হন। সূর্যকুমার যাদব ১০ বলে মাত্র ১৪ রান করেন। সেমিফাইনালে ভারতের প্রথম সারির তিন ব্যাটারই এ দিন ডুবিয়েছেন টিমকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।