২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে লজ্জার হার। এই বিশ্রি হারের হাত ধরেই শেষ হয়ে গেল ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া সুপার-টুয়েলভ পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু সেমিতে এসে ইংল্যান্ডের কাছে জঘন্য ভাবে পরাস্ত হল রোহিত ব্রিগেড।
এই বাজে হারের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা একেবারে ভেঙে পড়েন। নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে, তাঁকে কেঁদে ফেলতেও দেখা যায়। আর এই হারের জন্য রোহিত সরাসরি দায়ী করেছেন দলের বোলারদের। ম্যাচের পর ভারত অধিনায়ক বলে দেন, বল হাতে এ দিন একেবারেই পারফরম্যান্স করতে পারেনি ভারত।
আরও পড়ুন: ৩৮২ দিন পর ফের ভারতীয় ক্রিকেটে ফিরল T20 WC-এ ১০ উইকেটে হারের লজ্জা!
ম্যাচের পর রোহিত শর্মা বলেন, ‘আজ আমরা যে ভাবে হারলাম, সেটা খুবই হতাশার। সত্যিই এই হারটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমি ভেবেছিলাম আমরা শেষের দিকে ভালো ব্যাটিং করেছিলাম। কিন্তু আমরা বোলিংয়ে ভালো করতে পারিনি। এটা অবশ্যই এমন একটা উইকেট ছিল না, যেখানে একটা দল এসে ১৬ ওভারে রান তাড়া করে দিতে পারে। যে কোনও কিছু হতেই পারত। তবে আসলে আজ আমরা বোলিংটা ভালো করতে পারিনি।’
ভারত অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমরা যে ভাবে বল নিয়ে শুরুটা যেমন করেছিলাম, সেটা আদর্শ ছিল না। ওদের ওপেনারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা সত্যিই ভালো খেলেছে। ভুবির প্রথম ওভারে বল সুইং করেছে। কিন্তু ঠিক জায়গায় নয়। ঠিক জায়গায় বলই রাখতে পারল না ও। আমরা ইংল্যান্ডকে কম রানে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আঁটোসাটো বল করা। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মারার জায়গা না দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। উইকেটের দু’পাশের এলাকা নিয়ে সতর্ক ছিলাম আমরা। কারণ এই মাঠে উইকেটের দু’পাশে প্রচুর রান ওঠে। এই ম্যাচেও উঠেছে। আমরা যখন প্রথম খেলা এখানে জিতেছিলাম, তখন এটি অন্য চরিত্র দেখিয়েছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল। তবে আজকে আমরা পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: T20I-তে চার হাজার রান করে ফেললেন কোহলি, গড়লেন বিশ্বরেকর্ড
এখানেই শেষ নয়। রোহিত স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন, সেমিফাইনালের চাপটা তাঁর দল সামলাতেই পারেনি। ভারত অধিনায়কের দাবি, ‘নক আউট পর্বে স্নায়ুর চাপটা সামলানোই আসল। এই ম্যাচ টান টান উত্তেজনাপূর্ণ হয়। ফলে নক আউট গেমের স্নায়ুর চাপটা ধরে রাখাটাই আসল। এই সময় ম্যাচ অনেকটা ব্যক্তি বিশেষের উপরও নির্ভর করে। কী ভাবে চাপ সামলাতে হয়, সেটা কাউকে আপনি শেখাতে পারবেন না। যখন এই ছেলেরা আইপিএলের প্লে-অফ খেলে, সেগুলোও যথেষ্ট চাপের ম্যাচ হয়। ওরা সেটা কিন্তু সামলাতে পারে। দলের সকলেই চাপ সামলাতে অভ্যস্ত।’