পাকিস্তানের পর এ বার নিউজিল্যান্ডের কাছে হারল ভারত। ফের ব্যর্থ ব্যাটিং অর্ডার। বেহাল দশা দলের। রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১১০ রান করে ভারত। সাতে নেমে রবীন্দ্র জাদেজা ১৯ বলে অপরাজিত ২৬ রান করেছিলেন। এটাই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল। ২৪ বলে ২৩ রান করেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এর বাইরে কোনও ব্যাটসম্যানই ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। যার নিট ফল, মাত্র ১১০ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। যে রানটা মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩ বল বাকি থাকতে সহজেই করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ১৪.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান করে কিউয়িরা। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় কেন উইলিয়ামসনের দল।
এ দিনের ম্যাচে ভারতীয় প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী যদি নম্বর দেওয়া যায়, তা হলে দেখা যাবে, ব্যাটসম্যানরাই নম্বরের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। আর হবে নাই বা কেন, ব্যাটিং অর্ডার যে এ দিন চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে।
কেএল রাহুল: ৩/১০
১৬ বলে ১৮ রান করেন কেএল রাহুল।
ইশান কিষাণ: ১/১০
৭ বলে মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইশান।
রোহিত শর্মা: ২/১০
১৪ বলে কোনও ১৪ করেন রোহিত শর্মা।
বিরাট কোহলি: ১/১০
চূড়ান্ত ব্যর্থ হন অধিনায়ক কোহলি। ১৭ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি।
ঋষভ পন্ত: ২/১০
পন্তও এ দিন ব্যর্থ। ১৯ বলে ১২ রান করেন তিনি।
হার্দিক পাণ্ডিয়া: ৫/১০
আহামরি পারফরম্যান্স না করলেও তাও ২০ রানের গণ্ডি টপকেছিলেন তিনি। ২৪ বলে ২৩ রান করেছেন।
রবীন্দ্র জাদেজা: ৫/১০
জাদেজার ১৯ বলে অপরাজিত ২৬ রানের সৌজন্যেই ১০০ রানের গণ্ডি টপকায় ভারত।
শার্দুল ঠাকুর: ১/১০
শার্দুলকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। তবে তিনি মন জয় করতে পারলেন না। ১.৩ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়েছেন তিনি। কোনও উইকেট নেননি।
মহম্মদ শামি: ৩/১০
মাত্র ১ ওভার বল করানো হয়েছে শামিকে। ১১ রান দেন তিনি। কোনও উইকেট নেননি।
জসপ্রীত বুমরাহ: ৮/১০
জসপ্রীত বুমরাহ ভারতীয় প্লেয়ারদের মধ্যে একমাত্র ভাল পারফরম্যান্স করেছেন। ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।
বরুণ চক্রবর্তী
এ দিন বল হাতে ইনিংসের শুরুটা করেন বরুণ চক্রবর্তী। তবে তিনি উইকেট নিতে পারেননি। ৪ ওভার বল করে ২৩ রান দেন।