অনেক কষ্ট করে ভারতের জন্য দুর্ধষ পারফরমেন্স করে বিশ্বকাপের দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। ৩৭ বছরে দলে কামব্যাক, এ প্রায় ভাবাই যায় না। কিন্তু বীরু, জাহিররা যা পারেননি, সেটা করে দেখিয়েছেন তামিলনাড়ুর এই উইকেটরক্ষক। ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন ডিকে। সেখানে থেকে ২০২২, ১৫ বছর পর ফের বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি দল ও ডিকের কাছে। কিন্তু এই বিশ্বকাপে ভাগ্য সহায় দিচ্ছে না। সেভাবে চলছে না ডিকে-র ব্যাট, কিপিংয়েও ভুলভ্রান্তি হচ্ছে অজস্র। এবার তো পিঠের ব্যথায় কাবু হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের শেষ পাঁচটি ওভার কিপিং করতে পারলেন না প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক। তাঁর জায়গায় উইকেটকিপিং করলেন ঋষভ পন্ত।
এদিন কিপিংয়ে বাভুমার ভালো ক্যাচ নিয়েছিলেন কার্তিক। কিন্তু পাঁচ ওভার বাকি থাকার সময় পিঠে টান অনুভব করায় ডাগআউটে চলে যান তিনি। ম্যাচের শেষে ভূবনেশ্বর কুমার জানান যে ডিকে-র পিঠে কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে ফিজিও-র রিপোর্টের তারা অপেক্ষা করছেন বলে জানান ভারতীয় পেসার। ডিকে-র সঙ্গে তাঁর আলাদা করে কথা হয়নি ও হোটেলে ফিরেই তিনি তাঁর শরীরের হাল জানতে পারবেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান ভুবি।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে দুই বল বাকি থাকতেই। প্রাথমিক ধাক্কা খেলেও মারকরাম ও মিলারের ৭৬ রানের জুটি প্রোটিয়াদের ভালো জায়গায় নিয়ে যায়। শেষের দিকে দ্রুত দুটি উইকেট নিলেও ম্যাচে সবসময়ই পিছিয়ে ছিল ভারতীয়রা। অন্যদিকে এদিন ভারতীয় টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। সূর্য ৪০ বলে ৬৮ না করলে ১৩৩-ও করতে পারত না রোহিত বাহিনী। সাধারণত ফিনিশারের রোলে আসেন দীনেশ কার্তিক। এদিন যদিও অনেক বল বাকি থাকতেই এসেছিলেন। কিন্তু মাত্র ১৫ বলে ৬ রান করেই আউট হন তিনি। ভাগ্যের ফেরে প্রথম যেই বলটি স্লগ করেছিলেন, সেটাতেই ক্যাচ আউট হন ডিকে। তিনি আউট হওয়ার পর সূর্যও তেমন স্ট্রাইক পাননি কারণ প্রোটিয়া বোলাররা তখন আগুন তেজে বল করছিলেন। ভারতীয় টেলএন্ডাররা তার তেমন কোনও কুল-কিনারা করতে পারেননি।
সব দিক দিয়ে দেখতে গেলে কার্তিক যদি হয়তো আরো দুই-তিন ওভার টিকতেন ভারত ১৫৫-৬০ করে ফেলতে পারত। যা নিশ্চিত ভাবেই কম্পিটিটিভ স্কোর হত সিডনির বাউন্সি উইকেটে। এর আগে পাকিস্তান ম্যাচেও শেষের দিকে আউট হন তিনি। এদিনও ব্যর্থ। তার ওপর আবার পিঠে চোট যদিও সেটা কতটা চিন্তার তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই পন্তকে ফেরানোর জন্য ফ্যানদের কলরব শুরু হয়ে গিয়েছে। কার্তিক যদি পরের ম্যাচের আগে পুরো ফিট না হয়ে ওঠেন, তাহলে বদল হতেই পারে প্রথম একাদশে বলে অনেকের অভিমত।