একটা সময়ে যে লড়াইটা খুব কঠিন বলে মনে হয়েছিল, সেই লড়াইটাই সহজ করে দেন জিমি নিশাম। ৪ ওভারে ৫৭ রান বাকি ছিল। সেখান থেকে ১৭তম ওভারে নিশামের দু'টো ছয় এবং একটি চার রানই ম্যাচের রং পাল্টে দেয়। সেই ওভারে নিউজিল্যান্ড মোট ২৩ রান করে। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেয় কিউয়ি ব্রিগেড।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ইংল্যান্ড যখন উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছে। তখন ডাগ আউটের পাশে চুপ করে গম্ভীর মুখে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল জিমি নিশামকে। শান্ত স্বভাবের কেন উইলিয়ামসনও যেখানে এক গাল হাসিমুখে বসেছিলেন। তখন একটু বেশিই গম্ভীর ছিলেন জিমি নিশাম।
নিউজিল্যান্ডে টিমের উচ্ছ্বাসে ভাসার একটি আলাদা কারণও রয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ড্র হওয়ার পরেও বেশি চার মারার কারণে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। আইসিসি-র এই নিয়মটাই মানতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। এই ভাবে ফাইনালে হারটা হজম করতে পারেনি তারা। আর সেটারই সম্ভবত বহিঃপ্রকাশ হল বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বাসে আত্মহারা হয়ে পড়ে কিউয়ি ব্রিগেড। আর তাদের সেই উচ্ছ্বাসে সামিল হননি নিশাম। বরং সকলকে সাবধানই করেছেন তিনি।
একটি টুইটে নিশাম লিখেছেন, ‘কাজ শেষ? আমি সেটা মনে করি না।’ জিমি সহ পুরো নিউজিল্যান্ড টিমের কাছে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই লক্ষ্য। তবে সেমিতে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভেসে গিয়ে যাতে ফাইনালে ভরাডুবি না হয়, সেই কারণে সম্ভবত সতর্ক করেছেন নিশাম। নিজের ফোকাস ঠিক রাখতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েননি তিনি।
বুধবার প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে ১৬৬ রান করে। মইন আলি ৩৭ বলে ৫১ রান করেন। দাওয়িদ মালান ৩০ বলে করেন ৪১ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। ৪৭ বলে ৭২ রান করেন ডারিল মিচেল। ৩৮ বলে ৪৬ করেন ডেভন কনওয়ে। জিমি নিশাম ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যার নিট ফল, ৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।