জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পরেই খেলা ছাড়লেন নেদারল্যান্ডস তারকা মাইবার্গ

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় দিয়ে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ইতি টানার লোভ সামলাতে পারলেন না স্টিফেন। নেদারল্যান্ডসকে সরাসরি পরবর্তী টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র এনে দেওয়ার পরেই চিরতরে তুলে রাখলেন কমলা জার্সি।

স্টিফেন মাইবার্গ। ছবি- এপি (AP)

নিজের দলের হয়ে 'জন্মভূমিকে' হারানোর মিশ্র অনুভূতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন স্টিফেন মাইবার্গ। টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেই নেদারল্যান্ডসের জার্সি চিরতরে তুলে রাখার কথা ঘোষণা করলেন ডাচ তারকা।

সচরাচর বিশ্বকাপের পরে নিজেদের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে দাঁড়ি টানতে দেখা যায় বহু খেলোয়াড়কেই। তবে স্মরণীয় জয় দিয়ে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে দাঁড়ি টানার লোভ সামলাতে পারেননি মাইবার্গ। যা কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তেমনই ঐতিহাসিক জয়ের পরে তড়িঘড়ি অবসরের সিদ্ধান্ত নেন অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

রবিবার এবারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয় নেদারল্যান্ডসের। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাইবার্গ জানিয়ে দেন, ক্লাব ক্রিকেট চালিয়ে গেলেও আর কখনও নেদারল্যান্ডসের কমলা জার্সি গায়ে তুলবেন না।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্লেভারেই বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারানোর ছক কষে নেদারল্যান্ডস। ডাচ দলের বহু ক্রিকেটারের শিকড় গাঁথা দক্ষিণ আফ্রিকায়, মাইবার্গ যাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর জন্ম প্রিটোরিয়ায়। ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু নর্দার্ন্সের হয়ে। পরে নেদারল্যান্ডস দলের অন্যতম সম্পদে পরিণত হন মাইবার্গ।

দেশের হয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন আগেই। চলতি বছরেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের পরেই ৫০ ওভারের ক্রিকেট ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন মাইবার্গ। এবার পরিবারকে সময় দিতেই ছাড়লেন আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটও।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে মাইবার্গ প্রথম ওয়ান ডে খেলতে নামেন ২০১১-র সেপ্টেম্বরে। পরের বছর মার্চে ডাচ দলের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ২২টি ওয়ান ডে ও ৪৫টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেন স্টিফেন।