যে কোনও ফর্ম্যাটেই হোক, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলের সাফল্য নির্ভর করে বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটির উপরে। তবে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে ছবিটা বদলে গিয়েছে পুরোপুরি। বাবর ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। রিজওয়ান রান পেলেও পরিচিত ছন্দে নেই মোটেও।
অন্যদিকে বোলাররা বরাবর নির্ভরতা দেন পাকিস্তানকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। শাহিন আফ্রিদিকে শুরুর দিকে রংচটা দেখিয়েছে। তবে টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে, স্বমূর্তি ধারণ করেছেন শাহিন। হ্যারিস রউফ, মহম্মদ ওয়াসিমরা যোগ্য সঙ্গত করছেন তাঁকে।
তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের তুরুপের তাস হতে পারেন শাদব খান। বড় মঞ্চের প্লেয়ার শাদব দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচে উইকেট তো নিচ্ছেনই, ব্যাট হাতেও দলের পারফর্ম্যান্সে নিজের অবদান রাখছেন। তাছাড়া সিডনির বাইশগজে স্লো বেলারদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বিস্তর। সেকারণেই নিউজিল্যান্ডকে চমকে দিতে পারেন পাক স্পিনার।
শাবদ এখনও পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি ১০টি উইকেট নিয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে একেবারে প্রথম ম্যাচে উইকেট পাননি তিনি। তবে জিম্বাবোয়ে ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তিনি ৩টি করে উইকেট দখল করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তুলে নেন ২টি করে উইকেট। ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরিও করেন শাদব।
শাহিন আফ্রিদি ৫ ম্যাচে সাকুল্যে ৮টি উইকেট নিয়েছেন। ভারত ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে যে ২টি ম্যাচ পাকিস্তান হেরে যায়, সেই ২টি ম্যাচে কোনও উইকেট পাননি শাহিন। তবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ১টি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩টি ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪টি উইকেট দখল করেন তিনি।
রিজওয়ান সাকুল্যে ৫ ম্যাচে ১০৩ রান সংগ্রহ করলেও তাঁর স্ট্রাইক-রেট মোটে ১০০। অর্থাৎ, ১০৩ বল খেলে তিনি ১০৩ রান সংগ্রহ করেছেন। বাবর আজম ৫ ম্যাচে সাকুল্যে সংগ্রহ করেছেন ৩৯ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।