টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফের বড় অঘটন। পার্থে চরম রোমহর্ষক ম্যাচে পাকিস্তানকে এক রানে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে জিম্বাবোয়ে। জিম্বাবোয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করেছিল। জেতার জন্য খুব কঠিন লক্ষ্য ছিল না। তবু জিম্বাবোয়ের বোলাররা দুরন্ত পারফরম্যান্স করল। সিকান্দার রাজার নেতৃত্বে- পাকিস্তানকে তাঁরা ১২৯ রানেই আটকে দিল।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রানের প্রয়োজন ছিল। লড়াই করেছিলেন নওয়াজ এবং ওয়াসিম। ১৯.৩ ওভারে পাকিস্তান ১২৮ রান করে ফেলেছিল। পরবর্তী ৩ বলে ৩ করলেই ম্যাচ জিতে যেত তারা। কিন্তু চতুর্থ বলে কোনও রান হয়নি। স্ট্রাইকে ছিলেন নওয়াজ। পঞ্চম বলে নওয়াজকে ফেরান ইভান্স। ষষ্ঠ বলে আফ্রিদি ১ রান পূরণ করেন। কিন্তু দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। ১ রানে তারা ম্যাচ হেরে যায়। মোদ্দা কথা, পুরো ফাইনাল ওভারটাই ছিল নাটকীয়তায় ভরা।
শেষ বলে ২ রান নিলে ম্যাচটা অন্তত টাই হয়ে যেত। শাহিন আফ্রিদি ১ রান নিয়েওছিলেন। কিন্তু সিকান্দার রাজার থ্রো থেকে শাহিন আফ্রিদিকে রানআউট করেন চাকাভা। ১ রানে ম্যাচ হেরে পাকিস্তান ড্রেসিংরুম একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়। বাবর আজমের দিকে ক্যামেরা প্যান করলে দেখা যায়, তিনি স্তম্ভিত হয়ে মুখ ঢেকে ফেলেছেন। শুধু চোখ দু'টো দেখা যাচ্ছিল। যাতে যন্ত্রণা ছিল স্পষ্ট। রীতিমতো বিষণ্ণ দেখাচ্ছিল বারকে। আর সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল।
ম্যাচের পরে, বাবর স্বীকার করেন যে, এটি তাঁদের দলের একটি হতাশাজনক পারফরম্যান্স ছিল। এবং সিকান্দার রাজার বলে শাদব খান ও হায়দার আলির ব্যাক-টু-ব্যাক আউটই পাকিস্তানের রান তাড়ার ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। এমনটাই দাবি করেন বাবর।
পাক অধিনায়ক বলেন, ‘আমার দল খুবই হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে। আমরা একেবারে ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমারা পাওয়ার প্লে-তে খুব খারাপ খেলেছি। তবে শাদব এবং শান জুটি রানের গতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শাদব আউট হওয়ার পর থেকে ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারাই। যার ফলে ব্যাটিংয়ে চাপ তৈরি হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ভালো ব্যাটিং করিনি, পাওয়ার প্লে-তে খারাপ করেছি- অঘটনের পর বাক্যহারা বাবর
প্রসঙ্গত প্রথমে ব্যাট করে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেয় জিম্বাবোয়ে। শুরুটা খারাপ করেননি জিম্বাবোয়ের দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধভেরে, ক্রেগ এরভিন। কিন্তু বেশিক্ষণ টানতে পারেননি তাঁরা। জিম্বাবোয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন উইলিয়ামস। ২৮ বলে ৩১ করেন তিনি। বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে জিম্বাবোয়ে।
পাকিস্তানের মহম্মদ ওয়াসিম নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন শাদব খান। হ্যারিশ রউফ ১ উইকেট নিয়েছেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১২৯ রান করে। ১ রানে তারা হেরে যায়। শান মাসুদ সর্বোচ্চ রান করেন। তিনি ৩৮ বলে ৪৪ করে আউট হন। ১৮ বলে ২২ করেছেন নওয়াজ। পাকিস্তানের আর কোনও প্লেয়ার ২০ রানের গণ্ডি টপকাননি। জিম্বাবোয়ের সিকান্দার রাজা ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিয়েছেন ব্র্যাড ইভান্স। মুজারাবানি এবং জংউই একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।