টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভারতের জাতীয় সংগীত চলছে। কিন্তু তা 'সেনসর' করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানি সরকারি সংবাদমাধ্যম পিটিভির বিরুদ্ধে। তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানিদের একাংশও। ট্রোল করতে ছাড়েননি ভারতীয়রাও। বিষয়টি নিয়ে ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
রবিবার (যেদিন ভারত-জিম্বাবোয়ে ম্যাচ ছিল) উসজা হুসেন নামে নেটিজেন টুইটারে দুটি ছবি পোস্ট করেন। একটি ছবি ছিল পিটিভির। তাতে বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছিল। অপরটি টেন স্পোর্টস এইচডি'র ছবি ছিল। তাতে দেখা যাচ্ছিল যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেটাররা জাতীয় সংগীত গাইছেন। সেইসঙ্গে ওই নেটিজেন লেখেন, 'ভারতের জাতীয় সংগীতের সময়টা সেনসর করছে পিটিভি (অর্থাৎ বিশ্বকাপে যখন ভারতের জাতীয় সংগীত চলছে, তখন তা দেখানো হচ্ছে না)। কেন পিটিভি?'
শুধু ওই নেটিজেন নয়, অনেকেই একই অভিযোগ তুলতে থাকেন। সিরাজ হাসান নামে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিসিসি) এক প্রাক্তন সাংবাদিক বলেন, 'কারণ ওটা পিটিভি।' এক পাকিস্তানি নেটিজন আবার বলেন, 'কারণ পিটিভি স্পোর্টস পুরোপুরি সেনার হাতে আছে। আর কোনও উপায় নেই। সেনার হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু করার নেই।'
তবে পাকিস্তানিদের একাংশ তাতে আপত্তির কিছু দেখছেন না। এক পাকিস্তানি নেটিজেন বলেন, ‘আপনি ইউটিউবে শুনে নিন।’ একইসুরে অপর একজন বলেন, ‘আপনাকে ফেসবুকে লিঙ্ক পাঠিয়ে দিচ্ছি আমি।’ অপর এক পাকিস্তানি নেটিজেনও বলেন, ‘আরে ভাই (ওই পাকিস্তানি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেছেন) পয়সা কামাচ্ছে। বিজ্ঞাপন থেকে টাকা কামাচ্ছে। আর কিছু নয়।’
তারইমধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানি দাবি করছিলেন যে ভারতেও একই কাজ করা হয়। লাইভ কভারেজের সময় পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত 'সেনসর' করে দেয় সংশ্লিষ্ট চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এক ভারতীয় নেটিজেন স্পষ্টভাবে বলে দেন, 'পাকিস্তানের প্রতিটি ম্যাচে আপনাদের জাতীয় সংগীত শুনতে পাই।' আরও এক ভারতীয় নেটিজেন বলেন, ‘ছোটোবেলা থেকেই পাকিস্তান ম্যাচের সময় আপনাদের জাতীয় সংগীত শুনতে পাই।’
সেইসঙ্গে ভারতীয় নেটিজেনরা পিটিভিকে ছেড়ে কথা বলেননি। পিটিভির ‘নিম্ন মানসিকতা’ নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। একজন বলেন, 'লাইভ সম্প্রচারের সময় প্রতিপক্ষের জাতীয় সংগীত সেনসর করে দেওয়া থেকেই বোঝা যায় যে হীনমন্যতায় ভুগছে ওরা। তারপর আমাদের উপর দোষ চাপাবে যে আমরা খেলাধুলো এবং রাজনীতিকে এক করে দিচ্ছি।'
অপর একজন বলেন, 'আর আপনারা চান যে ভারত পাকিস্তান সফরে যাক। টিভিতে আমাদের জাতীয় সংগীত বাজাতে পারেন না আপনারা। কিন্তু ক্রিকেট খেলায় কোনও সমস্যা নেই। এটার কোনও যুক্তি নেই। পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিসিআই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা ১০০ শতাংশ ঠিক (২০২৩ সালে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে ভারত যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। তিনি জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ জায়গায় এশিয়া কাপ সরানো নিয়ে আলোচনা চলছে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।