টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান। প্রথম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ষষ্ঠবার সেমিফাইনালে উঠল। ২০০৭ সালে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে মাত্র দু'বার সেমিতে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের রেকর্ড
- ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। হেরে গিয়েছিল ভারতের কাছে।
- ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। এতবার সেমিতে উঠলেও মাত্র একবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদিদের দেশ।
- ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান।
- ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: প্রথম সেমিফাইনালে আয়োজক শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৬ রানে হেরে গিয়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদিরা।
- ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হয়েছিল। গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেবারই প্রথম কোনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল।
- ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ২০১৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। সেবারও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিয়েছিল পাকিস্তান। মাত্র একটি ম্যাচে জিতেছিল। হেরেছিল তিনটি ম্যাচে।
- ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: গত বছর অবিশ্বাস্য ফর্মে ছিল পাকিস্তান। দুর্দান্ত খেলে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন বাবর আজমরা। কিন্তু সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন।
- ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: এবার গ্রুপ পর্যায় থেকেই ছিটকে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের অবিশ্বাস্য জয়ের ফলে পাকিস্তানের সামনে দুর্দান্ত সুযোগ আসে। বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন বাবররা। উঠে যান বিশ্বকাপের সেমিতে।
পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে যে দল জিতত, সেই দলই সেমিফাইনালের টিকিট পেত। সেই পরিস্থিতিতে পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে উঠে গিয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: T20 World Cup 2022 Upsets: শেষদিনেও অঘটন! শুরু হয়েছিল নামিবিয়া-শ্রীলঙ্কা দিয়ে, একনজরে সেই ইতিবৃত্ত
আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসানদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুবাদে হেসেখেলে সেই লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোতে পাকিস্তান। শেষপর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই জিতে যান বাবররা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন।