বরাবর ডাকাবুকে মেজাজের। শুধু ব্যাট হাতে নয়, বরং মানসিকতাতেও। এহেন আসিফ আলি ব্যক্তিগত জীবনে ভেঙে পড়েছিলেন ২ বছরের মেয়েকে হারিয়ে। ২০১৯ সালে যখন ক্যান্সার কেড়ে নেয় আসিফের মেয়ের জীবন, সেই ধাক্কা সামলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসাই অসম্ভব দেখাচ্ছিল তারকা ক্রিকেটারের।
তবে ব্যক্তিগত জীবনের সেই ধাক্কাই আসিফকে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করে তোলে। হতাশা দূরে সরিয়ে সেই আসিফই এবার ব্যাট হাতে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
এমনটা নয় যে, চলতি বিশ্বকাপ অভিযানে আসিফ আলিই পাকিস্তানের যাবতীয় আশা-ভরসা। বরং বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদিরাই পাক দলের প্রধান শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তবে পরপর দু'টি ম্যাচে প্রয়োজনের সময় আসিফ আলি যেভাবে ব্যাট চালিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতান, তাতে বাবরদের শক্তি ও আত্মবিশ্বাস কয়েকগুন বেড়েছে সন্দেহ নেই।
একদা আসিফ এক সাক্ষাত্কারে নিজেই জানিয়েছিলেন যে, মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় খেলায় মনোযোগ দিতে পারতেন না। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। তিনি জানান, চিকিত্সার জন্য এক বছর ধরে মেয়েকে নিয়ে কখনও লাহোর, কখনও ইসলামাবাদ আবার কখনও করাচিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। হাসপাতাল বদলেছেন, ডাক্তার বদলেছেন, ওষুধ বদলেছেন। এমনকি আমেরিকায় নিয়ে গিয়েও চিকিত্সা করিয়েছেন। তবু বাঁচাতে পারেননি মেয়েকে।
ধক্কা সামলে মাঠে নেমেছেন আসিফ। পিএসএলে দাপুটে ব্যাটিং করেছেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না আসিফ। অবশেষে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর পর তৃপ্ত দেখায় পাক তারকাকে। স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসিফ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদের সকলকে, যাঁরা কঠিন সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।