আজ বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল। মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান এই বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। এই বিশ্বকাপের একমাত্র দল হিসেবে সুপার-টুয়েলভের সব ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। অস্ট্রেলিয়া আবার বিশ্বকাপ যত এগিয়েছে, তত নিজেদের ছন্দ ফিরে পেয়েছে। এর পাশাপাশি অজিরা নক আউটে বড় গাঁট। ১৯৯৯ ওডিআই বিশ্বকাপে পাকিস্তান দুরন্ত ছন্দে ফাইনালে পৌঁছানোর পরেও, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল। এ বার সেমিফাইনালে কোনও ভাবে আর আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না বাবর আজমরা।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টিতে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তানই। যদিও এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩-৩ সমতা রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে এগিয়ে বাবর আজমের দল।
১) দুই দল মোট ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আর তার মধ্যে ১৩টিতে জিতেছে পাকিস্তান। ৯টি ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
২) দুবাইয়ে আবার ৭ ম্যাচ খেলে অজিরা ৫টিতেই হেরেছে। মাত্র ২টি ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছে তারা।
৩) দুই প্রতিপক্ষের শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জিতেছে পাকিস্তান। ২টি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
৪) আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র ৬টি ম্যাচ খেলে ৩টি করে ম্যাচ জিতেছে দুই দলই।
এখানেই শেষ নয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করেই পাকিস্তান বেশি সাফল্য পেয়েছে।
১) প্রথমে ব্যাট করে ন'টি ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। ৪টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
২) পরে ব্যাট করে পাকিস্তান আবার ৪টি ম্যাচ জিতেছে। আর অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৫টি ম্যাচ।
এ বার কি সব পরিসংখ্যান পাল্টে যাবে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। উল্টোদিকে পাকিস্তানের সামনে দ্বিতীয় বার সুযোগ রয়েছে এই ফর্ম্যাটে বিশ্ব সেরা হওয়ার। তার আগে সেমিফাইনালের বাধা টপকাতে হবে। পাকিস্তান না অস্ট্রেলিয়া কারা যাবে ফাইনালে?
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।