বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের ভরাডুবি হলেও লড়াই চালিয়েছিলেন বোলাররা। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেট ফেলে দেন তাঁরা। তবে মাত্র ৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে বেশীক্ষণ লড়াই চালানো সম্ভব নয়। ১৩.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৬ উইকেটে জয় পেল প্রোটিয়ারা
বাংলাদেশ যখন দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৮৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল, তখনই বোঝা গিয়েছিল, এই ম্যাচের ফল কী হতে চলেছে। তাও বাংলাদেশ বোলারদের লড়াইয়ের সৌজন্যে খেলা ১৩.৩ ওভার পর্যন্ত গড়ায়। ৪ উইকেটও পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। তাসকিন আহমেদ একাই ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ৪ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়েছেন তিনি। মেহেদি হাসান এবং নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রান বাভুমার। তিনি ২৮ বলে ৩১ রান করেছেন। এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ অফ ডেথ থেকে ইংল্যান্ডে ইতিমধ্যেই ৪ ম্যাচ খেলে ৪টিতে জিতে শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেখার, শেষ পর্যন্ত কাদের শিকে ছেঁড়ে!এ দিকে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল। তারা ৪ ম্যাচ খেলে ৪টিতেই হেরেছে।
দাসেন আউট
২৭ বলে ২২ রান করে আউট হলেন দাসেন। নাসুমের বলে শরিফুল দুরন্ত ক্যাচ ধরেন। ১৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। ২৭ বলে ৩০ করে ফেলেছেন বাভুমা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১২ ওভারে: ৬৭/৩
৪৮ বলে চাই ১৮ রান। ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৭ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। বাভুমার সংগ্রহ ২৩ বলে ২৫ রান। দাসেন করেছেন ২৪ বলেে ১৫ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ ওভারে: ৫৫/৩
১০ ওভারে ৩ ইঅকেট হারিয়ে ৫৫ করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬০ বলে চাই ৩০ রান। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট। বাভুমা ১৮ বলে ১৮ করেছেন। দাসেন ১৮ বলে ১০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ ওভারে: ৪১/৩
৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭২ বলে ৪৪ রান প্রয়োজন প্রোটিয়াদের। বাভুমা (১০ বলে ৭ রান) এবং দাসেন (১৪ বলে ৭ রান) ক্রিজে রয়েছেন।
মার্করাম আউট
মাত্র ৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে নেমেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা নিরাশ করলেও বোলাররা কিন্তু স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। মার্করামকে ফেরালেন তাসকিন। প্লে অফে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে থাকল প্রোটিয়ারা। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
কুইন্টন ডি'কক আউট
১৫ বলে ১৬ রান করে মেহেদি হাসানের বলে বোল্ড হন ডি'কক। ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ ওভারে: ১৬/১
তাসকিন এই ওভারে ৭ রান দিলেন। ৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। লড়াই চালাচ্ছেন কুইন্টন ডি'কক (১০ বলে ৮ রান) এবং রাসি ভ্যান ডার দাসেন (৩ বলে ১ রান)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২ ওভারে: ৯/১
এই ওভারে শরিফুল ইসলাম মাত্র ৩ রান দিলেন। ২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। কুইন্টন ডি'কক (৫ বলে ২ রান) এবং রাসি ভ্যান ডার দাসেন (২ বলে ০ রান) ক্রিজে রয়েছেন।
প্রথম ওভারের শেষ বলে আউট হেন্ডরিকস
৫ বল খেলে সবে ৪ রান করেছিলেন। তাঁকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে উইকেট হারানোটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। ১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
রান তাড়া করা শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার
ওপেন করতে নেমেছেন কুইন্টন ডি'কক এবং রেজা হেন্ডরিকস। তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারে বল করতে এসেছেন।
৮৪ রানে অল আউট বাংলাদেশ
১৯ ওভারে বল করতে এসে প্রথম দু'বলে পরপর মেহেদি হাসান এবং নাসুম আহমেদকে আউট করেন নরকিয়া। ৮৪ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন মেহেদি হাসান। নাসুম আহমেদ তো প্রথম বলেই হিট উইকেট হয়ে যান। বলের বদলের উইকেটে মেরে স্টাম্প ফেলে দেন নাসুম।এ দিন বাংলাদেশ বধ করতে শুরু করেছিলেন রাবাডা। প্রথম ছয় ওভারেই ৩ উইকেট ফেলে দেন তিনি। শেষ করলেন নরকিয়া। ১৮.২ ওভারে বাংলাদেশকে অল আউট করতে বড় ভূমিকা নেন। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাডা এবং নরকিয়া। শামসি নিয়েছেন ২ উইকেট। প্রিটোরিয়াস নিয়েছেন ১ উইকেট।এ দিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মেহেদি হাসান। ২৫ বলে ২৭ করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিটনের ৩৬ বলে ২৪ রান। ২০ বলে ১১ করেছেন শামিম। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। চার জন ব্যাটসম্যান শূন্য করে আউট হয়েছেন।
তাসকিন আহমেদ আউট
শামিম আউট হলে নেমেছিলেন তাসকিন আহমেদ। মাত্র ৫ বল খেলে ৩ রান করেছিলেন। তাঁকে সরাসরি রানআউট করেন বাভুমা। তবে পরের বলেই মেহেদি হাসান ছক্কা মারেন শামসিকে। এই ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭ রান হল। মেহেদি হাসান ২৪ বলে ২৭ রান করেছেন। নাসুম আহমেদ একটি বলও খেলেননি। ১৮ ওভারে ৮ উইকেটে ৮৪ রান বাংলাদেশের।
শামিম হোসেন আউট
শামসির বলে কেশব মহারাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন শামিম। ২০ বলে ১১ রান করেন তিনি। ১৫.২ ওভারে ৭ উইকেটে ৬৪ রান বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ ১৫ ওভারে: ৬২/৬
এই ওভারে রাবাডা দু'টো নো বল করার পরেও মাত্র ৬ রান হল। ১৫ ওভার হয়ে গিয়েছে। ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬২ রান বাংলাদেশের। ক্রিজে রয়েছেন শামিম হোসেন (১৮ বলে ৯ রান) এবং মেহেদি হাসান (১৩ বলে ১০ রান)।
লিটন আউট
লিটন দাস যেটুকু হাল ধরেছিল। এ বার তাঁকে এলবিডব্লিউ করেন শামসি। ৩৬ বলে ২৪ রান করেছেন লিটন। তিনি আউট হওয়ায় চাপ আরও বাড়ল বাংলাদেশের। ১২ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৪৬ রান বাংলাদেশের। ক্রিজে রয়েছেন শামিম হোসেন (১০ বলে ৪ রান) এবং মেহেদি হাসান (১ বলে ১ রান)।
বাংলাদেশ ১০ওভারে: ৪০/৫
লিটন দাস উইকেট আঁকড়ে রয়েছে ঠিকই. তবে তাঁকে সঙ্গত করার কেউ নেই। একের পর এক উইকেট পরে চলেছে বাংলাদেশের। ওপেন করতে নেমে ৩০ বলে ২০ রান করে দলের একের পর এক উইকেট পতনের সাক্ষী লিটন। শামিম ৫ বল খেলে ৩ রান করেছেন। ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান বাংলাদেশের।
আফিফ আউট
মাহমুদুল্লাহের পরিবর্তে নেমে প্রথম বলেই আউট হন আফিফ। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসের বলে বোল্ড হন তিনি। ৮.১ ওভারে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপ আরও বাড়ল বাংলাদেশের।
মাহমুদুল্লাহ আউট
দল যখন চাপে, আশা করা হয়েছিল, অধিনায়ক বড় রানের ইনিংস খেলবে। কিন্তু এ কী অবস্থা! ৮ ওভারের শেষ বলে নরকিয়ার বলে মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশের অধিনায়ক ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেছেন। ৮ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪ রান বাংলাদেশের।
পাওয়ার প্লে-তে হল মাত্র ২৮ রান, পড়ল ৩ উইকেট
পাওয়ার প্লে-তে রাবাডাই বাংলাদেশের কোমর ভেঙে দিয়েছেন। ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান বাংলাদেশের। ১৮ বলে ১৪ রান লিটনের। মাহমুদুল্লাহের সংগ্রহ ৩ বলে ২ রান।
মুশফিকুর রহিম আউট
ফের রাবাডার দাপট। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে হ্যাটট্রিক না করতে পারলেও রাবাডা বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট ফেলে দেন। ৩ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুরের অসাধারণ ক্যাচটি ধরেন হেন্ডরিকস। মুশফিকুরের পরিবর্তে নেমেছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
বাংলাদেশ ৫ ওভারে: ২৪/২
চতুর্থ ওভারের শেষ দু'টি বলে দু'টি উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের। স্বাভাবিক ভাবে চাপে পড়ে গিয়েছে তারা। পঞ্চম ওভারে মাত্র ২ রান নিয়েছে বাংলাদেশ। ২ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান তাদের। ১৮ বলে ১৪ রান লিটনের। মুশফিকুর সৌম্যর বদলে নেমে এখনও একটি বলও খেলেননি।
সৌম্য সরকার আউট
নইমের বদলে নেমেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হন তিনি। নইমকে পঞ্চম বলে আউট করেছিলেন রাবাডা। আর শেষ বলে শূন্য রানে ফেরালেন সৌম্যকে। ৪ ওভারে ২ উইকেটে ২২ রান বাংলাদেশের।
মহম্মদ নইম আউট
শুরু থেকেই একটু নড়বড় করছিলেন মহম্মদ নইম। চতুর্থ ওভারে বল করছিলেন রাবাডা। তাঁর ওভারের পাঁচ নম্বর বলে বড় শট খেলতে গিয়ে হেন্ডরিকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নইম। ১১ বলে তিনি করেছেন ৯ রান করেছেন তিনি। ২২ রানে ১ উইকেট হারিয়ে বসল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ৩ ওভারে: ১৭/০
কেশব মহারাজ এই ওভারে ৮ রান দেন। এই ওভারে বাউন্ডারি মারেন নইম। ৮ বলে ৭ রান নইমের। ১০ বলে ১০ রান লিটনের।
বাংলাদেশ ২ ওভারে: ৯/০
এই ওভারে কাগিসো রাবাডা ৫ রান দেন। ৫ বল খেলে ১ রান নইমের। ৭ বলে ৮ রান লিটনের।
বাংলাদেশ ১ ওভারে: ৪/০
কেশব মহারাজ প্রথম ওভারে চার রান দেন। ৪ বলে ৩ রান করেন লিটন। নইম ২ বলে ১ রান করেন।
বাংলাদেশের ইনিংস শুরু
বাংলাদেশ ব্যাট করতে শুরু করে দিয়েছে। ওপেন করতে নেমেছেন লিটন দাস এবং মহম্মদ নইম।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম একাদশ
রেজা হেন্ডরিকস, কুইন্টন ডি'কক (উইকেটকিপার), রাসি ভ্যান ডার দাসেন, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাডা, কেশব মহারাজ, এনরিখ নরকিয়া, তাবরেইজ শামসি।
বাংলাদেশের প্রথম একাদশ
লিটন দাস (উইকেটকিপার), মহম্মদ নইম, শামিম হোসেন, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন , মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ শরিফুল ইসলাম, তাস্কিন আহমেদ।
দলে দু'টি পরিবর্তন বাংলাদেশের
চোটের কারণে শাকিব আল হাসান আগেই ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর জায়গায় আজ দলে ঢুকছেন শামিম হোসেন। মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় দলে ঢুকেছেন নাসুম আহমেদ।
টসে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
টসে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা টিমে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।
গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা
গ্রুপ ওয়ানের দুই নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা তিনটি ম্যাচ খেলে দু'টিতে জয় পেয়েছে, একটি ম্যাচ হেরেছে। এই গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ইংল্যান্ড। তারা চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতেই জিতেছে। তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়া প্রোটিয়াদের মতোই ৩ ম্যাচ খেলে ২টিতে জিতেছে। একটি ম্যাচ হেরেছে। তবে রানরেটে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে দুই নম্বর জায়গাটাই তারা ধরে রাখতে চায়। সেমিফাইনালের রাস্তাটা মজবুত করতে চায় তারা।
সম্মানরক্ষার লড়াই বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলে ফেললেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। যে কারণে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর তাদের আর কোনও আশা কার্যত নেই। তবে নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্য আজ লড়াই করতে চায় বাংলাদেশ। দেওয়ালে পিঠ ঢেকে যাওয়া পরিস্থিতি থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা।