কিংবদন্তি ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ রবিবার অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরে বেন স্টোকস এবং বিরাট কোহলির নকের তুলনা করেছেন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে দুই ব্রিটিশ ওপেনার জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলস অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেন। কোহলি সেই ম্যাচে কঠিন সময়ে ৪০ বলে ৫০ করেছিলেন। তবে ভারত হারায় বিরাটের সেই লড়াই বৃথা যায়।
এ দিকে রবিবার ফাইনালে বেন স্টোকস ফের হাফসেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় এনে দিয়েছেন। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে ইংল্যান্ডকে সাহায্য করেছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে বাবর আজমের পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। স্টোকসের অপরাজিত ইনিংসের হাত ধরে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে ফেলে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: শামির কর্মফল নিয়ে টুইটে গায়ে জ্বালা পাকিস্তানের, তারকা পেসারকে এক হাত আফ্রিদির
ফাইনালে স্টোকসের ইনিংসও বেশ স্লো ছিল। এবং একটা সময়ে ইংল্যান্ডের সামনে হারের ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছিল। তবে স্টোকস শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকেন এবং ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেই তিনি মাঠ ছাড়েন। অথচ সেমিতে ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০ বলে ৫০ রান করেছিলেন। তবে তিনি স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন। বিরাটের সমর্থনে এ বার সরব হলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তিনি ফাইনালে স্টোকসের খেলা ইনিংসে উদাহরণ টেনে বিরাটের হয়ে সওয়াল করলেন।
আরও পড়ুন: ওপেনার না হয়েও T20 World Cup-এ সর্বোচ্চ রান কোহলির, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার
ক্রিকবাজে সেহওয়াগ বলেছেন, ‘সেমিফাইনালে বিরাট কোহলি ৪০ বলে ৫০ রান করেছিলেন এবং সকলে এটি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিল। কিন্তু সেই রানটা না হলে ভারত ১৬৮-তে পৌঁছত না। বিরাট কোহলি চাপের মধ্যে সেই ইনিংসটি খেলেছিল এবং সেই সময়ের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছিল। বেন স্টোকস যদি প্রথম ইনিংসে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রান করত, তা হলে মানুষ সেটারও সমালোচনা করত। অপরাজিত থেকে তিনি ইংল্যান্ডকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। এবং ৬ বল বাকি থাকতে তারা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘কোহলির ইনিংসের নিয়ে বলব, ভারত ম্যাচ হেরে যাওয়ার কারণে ওর ইনিংস মূল্য় পাইনি। তবে কোহলির এই স্কোরই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো, যদি ভারত ম্যাচ জিতত।’