চোদ্দো বছর আগে যে ‘ভুল’ করা হয়েছিল, আবারও সেই ‘ভুল’ করল ভারত। এমনটাই কার্যত বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মাকে তিনে নামিয়ে বিরাট কোহলিরা যে কত বড় 'ভুল' করেছেন, তা ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সচিন তেন্ডুলকরের উদাহরণ টেনে বোঝালেন তিনি।
ক্রিকবাজে সেহওয়াগ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আমরা দুটি ভুল করেছিলাম। আমরা যখন খুব ভালোভাবে রান তাড়া করছিলাম এবং রান তাড়া করতে নেমে টানা ১৭ টি ম্যাচ জিতেছিলাম, তখন আমাদের কোচ বলেছিলেন যে আমাদের ব্যাটিংয়ের অনুশীলন করা দরকার। আমি বলেছিলাম যে আমরা আগে দুটি ম্যাচ জিতে যাই। তারপর ব্যাটিংয়ের মান ভালো করার জন্য আমাদের তো ছ'টি ম্যাচ আছে। কিন্তু (কোচ) বলেন যে না।’
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘নক-আউট’ ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের পরিবর্তে ভারতের প্রথম একাদশে ঢোকেন ইশান কিষান। তাঁকে কে এল রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয়। রোহিতকে তিনে নামানো হয়। কিন্তু সেই কৌশল একেবারেই কাজে লাগেনি। বরং বিরাটদের পরিকল্পনা পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সচিনকে ওপেনিংয়ের পরিবর্তে চার নম্বরে খেলানোর সঙ্গে রোহিতকে তিনে খেলানোর ‘ভুলের’ তুলনা টেনে সেহওয়াগ বলেন, ‘(২০০৭ সালের বিশ্বকাপে) দ্বিতীয় ভুল ছিল যে সচিন তেন্ডুলকর এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপেনিং জুটি যখন তত ভালো খেলছিল, তখন কেন সেটা ভেঙে দেওয়া হল? কেন বলা হল যে তেন্ডুলকর যদি মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেন, তাহলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে?’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘(ম্যাচ) নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের তিনজন খেলোয়াড় ছিল - যুবরাজ সিং, রাহুল দ্রাবিড় এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। তোমার আবার কেন চতুর্থ জন চাই? সচিন চার নম্বরে করেছিল এবং দেখুন কী হয়েছিল। যখন কোনও দল খারাপ খেলে, তখন দল কৌশল পালটায়। কিন্তু যখন একটি পরীক্ষিত ফর্মুলা সাফল্য পেয়েছে, তখন সেটা পরিবর্তনের কোনও প্রয়োজন নেই। এটাই আমি সেরা উদাহরণ হিসেবে দিতে পারি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।