টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন শাহিন আফ্রিদি। এতটাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন যে মাঠের মধ্যে ঢুকে মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমকে একইসঙ্গে কোলে তুলে নেন পাকিস্তানের তারকা পেসার। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
বুধবার সিডনিতে নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। রবিবার সকাল পর্যন্ত যে দলটা খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছিল, সেই দলটা ফাইনালে উঠলে যে উচ্ছ্বাসের মাত্রা কতটা হতে পারে, তা শাহিনদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। মাঠেই চলে আসেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার। সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন: ফাইনালে ভারতকে দেখতে চাই- নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই হেডেনের হুঙ্কার
তারইমধ্যে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, মাঠে একে অপরকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। কিন্তু ততক্ষণ আর অপেক্ষা করতে চাননি শাহিন। দু'জনকে একসঙ্গে কোলে তুলে নেন পাকিস্তানের তারকা পেসার। যিনি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুর দিকে তেমন ছন্দে না থাকলেও শেষ তিনটি ম্যাচে দারুণ ফর্মে আছেন। সেমিফাইনালের প্রথম ওভারেই তাঁর উইকেট ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচ
আজ সিডনিতে প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথম বলেই চার মারেন ফিন অ্যালেন। দ্বিতীয় বলেই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন শাহিন। আউট করে দেন কিউয়ি ওপেনারকে। তারপরই ছন্দ হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে ফের ‘টেস্ট’ ইনিংস খেলেন কিউয়ি অধিনায়ক। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৫২ রান তোলে পাকিস্তান। ৪২ বলে ৪৬ রান করেন কিউয়ি অধিনায়ক। ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন ড্যারিল মিচেল।
আরও পড়ুন: PAK vs NZ: সেমিতে জ্বলে উঠলেন বাবর-রিজওয়ান, জুটিতে শতরান করে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড
সেই রানের পুঁজি রক্ষা করতে নেমে শুরুতেই বাবর আজমের ক্যাচ ফস্কান ডেভন কনওয়ে। ক্যাচটা তেমন কঠিন ছিল না। একেবারে নিত্যদিনের ক্যাচ ছিল। প্রথম বলে সেই ‘উপহারের’ পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন বাবর। এবারের বিশ্বকাপে লাগাতার ব্যর্থতার পর অর্ধশতরান করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। সঙ্গ দেন মহম্মদ রিজওয়ানও। প্রথম উইকেটের জুটিতে ১২.৪ ওভারে ১০৫ রান তোলে পাকিস্তান। তারপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান কিছুটা চাপে পড়ে গেলেও শেষপর্যন্ত সহজেই ম্যাচ জিতে যান বাবররা।