এটা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশই নেই যে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দুরন্ত লড়াইয়ের শুরুটা করেছিলেন শাহিন আফ্রিদি। আফ্রিদি ঝড়েই ভারতের ব্যাটিং অর্ডার কার্যত গুড়িয়ে যায়। যদিও ভারতীয় বোলাররাও কিছু করে উঠতে পারেননি। যে কারণে ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। তবে ম্যাচের একেবারে শুরুতে ভারতের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। আর তাই পাকিস্তান আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায়। এবং এত সহজে ম্যাচটা জিতে নেয়।
ভারতের ১৫১ রানের জবাবে ওপেন করতে নেমে রিজওয়ান এবং বাবর আজম জুটিই জয় এসে দেয়। তবে ম্যাচের পরে রিজওয়ান দাবি করেন, ‘টপ অর্ডারের উইকেট ফেলে আমাদের কাজটা সহজ করে দেয় শাহিন। আর পরে প্রমাণিতও হয়ে যায়, সেটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এদিনের ম্যাচটা অসাধারণ ছিল। শাহিন উইকেটগুলো নেওয়ার পর আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে যাই যে, ম্যাচটা আমরাই জিতব। ওর দুরন্ত স্পেলই ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের জেতাতে সাহায্য করেছে।’
রবিবার শাহিন আফ্রিদির দাপটেই হার মানে ভারত। সুপার-টুয়েলভের নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। ম্যাচের শুরু থেকেই শাহিন আফ্রিদি নিজের দাপট দেখাতে শুরু করেন। ভারতের ১ রানের মাথায় রোহিত শর্মাকে ফেরান তিনি। মাত্র ১ বল খেলেই শূন্য রানে আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হন রোহিত।
এর পরেই কেএল রাহুলকে আউট করেন আফ্রিদি। তখন ভারতের রান মাত্র ৬। ৮ বল খেলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। ৬ উইকেটে যখন দলের ১৩৩ রান, তখন শাহিন আফ্রিদি ফেরান বিরাট কোহলিকে। ৪৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। এ দিন ভারতের তিন স্তম্ভকে আউট করেন শাহিন আফ্রিদি। আর এতে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার যেন একেবারে ভেঙে পড়ে। বিরাট আউট না হলে, তাও স্কোরবোর্ডে আরও কিছু রান যোগ হতে পারত ভারতের।
এ দিন বিরাটের ৫৭ রানের হাত ধরেই ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১৫১ রানে। কোহলি ছাড়াও ঋষভ পন্ত ৩০ বলে ৩৯ রান করেছেন। ভারতের বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউ ১৫ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ম্যাচের সেরা হন শাহিন আফ্রিদি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।