টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার ১২-র প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি লো স্কোরিং থ্রিলার ম্যাচ খেলা হয়। প্রোটিয়াদের দেওয়া ১১৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে হোঁচট খেলেও শেষ পর্যন্ত মার্কাস স্টইনিস এবং ম্যাথু ওয়েডের অপরাজিত ৪০ রানের পার্টনারশিপের দৌলতে অজিরা বাজিমাত করে।
প্রতি ওভারে ছয় রানেরও কম গতিতে রান তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারে অজিরা ৮১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। তবে স্টইনিস এবং ওয়েড দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জয়ের পর দলের অভিজ্ঞতার উপস্থিতিরই জয়গান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
ম্যাচের পর অজি অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় ডাগআউটে দলের বাকিরা আমরা থেকে অনেক বেশি শান্ত ছিল। যখনই কোনো টানটান উত্তেজনায় ভর্তি ম্যাচ এরম একদম শেষ পর্যায়ে চলে আসে, আমি তখন চাপেই থাকি। তবে স্টইনিস এবং ওয়েড মাথা ঠান্ডা রেখে নিজেদের কাজটা সফলভাবে করে। দিনের শেষে অভিজ্ঞতাই এসব জায়গায় কাজে আসে।’
বিশ্বকাপের আগে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথরা অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ সফরে না খেলে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনেকেই আইপিএল খেললেও প্যাট কামিন্স সেখান থেকেও অনুপস্থিত ছিলেন। তবে বিশ্বকাপে সকলেই দলে ফিরেছেন। মেগা টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের যে এই বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল তা মেনে নিচ্ছেন ফিঞ্চ।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা বিশ্রাম পাওয়ায় আখরে অস্ট্রেলিয়া দলের লাভ হয়েছে বলে ফিঞ্চের মত। ‘আমরা জানি সকলেরই বিশ্রামের দরকার ছিল এবং সেই নিয়ে কোন সময়ই আমাদের কোনরকম অসুবিধা ছিল না। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের দীর্ঘায়ুর জন্য এই বিরতিটার প্রয়োজনও ছিল। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে ফিরে পাওয়াটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতাই কাজে আসে।’ দাবি ফিঞ্চের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।