পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয়, এখনও অবধি বোলিং থেকে ওপেনিং ব্যাটিং হয়ে, লোয়ার অর্ডার, পাকিস্তানের হয়ে চলকি বিশ্বকাপে সবাই নিজের অবদান রেখেছেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সাত বলে ২৫ রান করে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে জেতান আসিফ আলি। করিম জানাতের ১৯ নম্বর ওভারে মারেন চারটি ছক্কা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামার আগেও সেই ঘোর এখনও কাটেনি আসিফ আলির।
Guardian-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ আলি বলেন, ‘আমি ওই অনুভূতিটা (চার ছক্কা মারার) ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি যে ওই চার ছক্কার ভিডিয়ো আছে আমার কাছে এবং আমি কমপক্ষে ১০০ বার ওটার হাইলাইটস দেখেছি। ওটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার কাছে। ২০১৬ সালে কার্লোস ব্রাথওয়েট চার ছক্কা হাকিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ জেতায়। আমিও যে এক ওভারে চার ছক্কা হাকিয়েছি, সেটা মাঝে মধ্যে নিজেরই অবিশ্বাস্য লাগে।’
পাকিস্তানের সাফল্যের পিছনে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই নিজের ভূমিকার বিষয়ে অবগত হওয়া একটা ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করেছে। লোয়ার মিডল অর্ডারে আসিফ আলি আফগানিস্তান ম্যাচ ছাড়াও কিউয়িদের বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। নিজের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা এবং সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রস্তুতির ফলে সাম্প্রতিক সাফল্য এসেছে বলে জানান ৩০ বছর বয়সী ব্যাটার।
‘অতীতের থেকে বর্তমানে নেটে আমার অনুশীলন সম্পূর্ণ ভিন্নরকম হয়। ম্যানেজমেন্ট আমায় সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে আমার ভূমিকা ফিনিশার হিসেবে এবং সেই পরিকল্পনাই আমি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করি। আগে সকলের মতো আমিও একই রকম অনুশীলন করতাম, তবে বর্তমানে ম্যাচে আমার সামনে কেমন পরিস্থিতি আসতে পারে, সেই বুঝেই অনুশীলন হয়। ওই পরিস্থিতিতে বাউন্সার, স্লোয়ার বল, বাইরের দিকের বল, যে ধরনের বল আমায় করা হতে পারে তারই অনুশীলন চলে। এর দরুণ ফলাফলেও স্পষ্ট পরিবর্তন এসেছে।’ দাবি আসিফ আলির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।