শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের গৌরবময় দিনগুলির ছায়ামাত্র বর্তমান দল। একাধিক সমস্যায় জর্জরিত লঙ্কান ক্রিকেট এবার তারুণ্য ভর করেই পুনরুত্থানের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। সেই লক্ষ্যে শুরুতেই নামিবিয়ার চ্যালেঞ্জকে সামলে ৩৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দাপটের সঙ্গে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল দ্বীপরাষ্ট্র।
আমিরশাহীর পিচে এবার বিশ্বকাপে স্পিনই দলগুলির আসল অস্ত্র হতে চলেছে বলে সবার ধারণা। তবে আগুনে গতি যে কোন পিচে সব সময়ই প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলতে পারে, তা প্রমাণ করে দিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা। অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ নামিবিয়া যে কোন দলেরই জন্যই বেশ খটমট চ্যালেঞ্জ। তবে লঙ্কান দল একদিকে পেসের আগুনে গতিতে তাদের ব্যাকফুটে ঠেলে স্পিনের জালে ফাঁসিয়ে পরাস্ত করল। লাহিরু কুমারা, চামিকা করুণারত্নেরা আফ্রিকান দলের ওপর থেকে কোন সময়ই চাপ হালকা হতে দেননি।
থিকশানা তিন ও হাসারাঙ্গা দুই উইকেট নিলেও কুমারা (দুই উইকেট), দুশমন্ত চামিরাদের (এক উইকেট) অতিরিক্ত গতির বিরুদ্ধে নাজেহাল হয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্পিনারদের মাঠের বাইরে পাঠানোর প্রচেষ্টায় আউট হন নামিবিয়ান ব্যাটাররা। নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই তারা মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায়। দলের হয়ে অভিজ্ঞ ক্রেগ উইলিয়ামস সর্বাধিক (৩৬ বলে ২৯) রান করেন। তবে প্রাক্তন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ডেভিড ওয়াইজার (৭ বলে ৬) থেকে প্রত্যাশা থাকেলও তিনি সফল হতে পারেননি।
৯৭ রানের ছোট্ট টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে একটু বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। কুশল পারেরা (৮ বলে ১১), দীনেশ চান্ডিমলরা (১২ বলে ৫) সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন। তবে বানুকা রাজাপক্ষ (২৭ বলে ৪২) এবং আভিষ্কা ফার্নান্ডোর (২৮ বলে ৩০) চতুর্থ উইকেটে অপরাজিত ৭৪ রানের পার্টনারশিপ দলকে জয় এনে দেয়। এই দাপুটে জয় পরবর্তীকালে নেট রান রেটের ব্য়াপার আসলে লঙ্কান দলকে সাহায্যই করবে। ম্যাচের সেরা হন মাহেশ থিকশানা।