শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে প্রত্যাবর্তন ঘটান কুইন্টন ডি'কক। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ মুভেমেন্টের প্রতীক হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হাঁটু মুড়ে বসতে না চাওয়ায় ডি'কককে দল থেকে বাদ দেওয়া। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি দলে ফেরেনও এবং হাঁটু মুড়েও বসতে দেখা যায় তাঁকে। তবে ম্যাচের আগে গোটা বিষয়টা নিয়ে তেম্বা বাভুমা বেশ চিন্তিতই ছিলেন।
ডি'কক হাঁটু মুড়ে বসতে না চাওয়ায় প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁকে তো কেউ কেউ রেসিস্ট অবধি অ্যাখা দিয়ে দেন। গোটা ঘটনার বিশালতা এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই বাভুমা চিন্তিত ছিলেন বলে জানান। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মলনে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘বিগত দুই দিনে যা যা ঘটেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা বেশ কঠিন। সেটা প্রভাব কিছুটা তো মাথার মধ্যে ছিলই। তবে তার মধ্যেও আমাদের নিজেদের কাজটা চালিয়ে যেতে হতো এবং লড়াই করতে হতো, তাই আমি একটু চিন্তিতই ছিলাম।’
ম্যাচে অবশ্য শেষ ওভারে লম্বা লম্বা দুই ছক্কা হাকিয়ে দলকে জয় এনে দেন ডেভিড মিলার। ১৩ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার, বাভুমা ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন। মিলারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের উইকেটে হারানোয় নিজের ওপরেই হতাশ বাভুমা। ‘ও (মিলার) বহুদিন আমাদের হয়ে এমন ইনিংস খেলেনি, তাই ওকে অনেক অভিনন্দন। অনেকটা গল্ফ সুইংয়ের মতো ওর ব্যাট সুইংটা। এই কঠিন পিচে আমি ম্যাচের শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিয়েছিলাম। যে শটটা খেলেছিলাম ওটাও মারারই ছিল, তবে তা ঠিক করে কানেক্ট না করতে পারায় সত্যি বলতে আমি নিজের ওপর একটু বিরক্তই বটে।’ বলে জানান বাভুমা।
প্রোটিয়াদের পরের ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়া বড় ব্যবধানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজিত হওয়ায় তাদের সমান চার পয়েন্ট তো দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েইছে। উপরন্তু, বেশি ভাল নেট রান রেটের দৌলতে অজিদের পিছনে ফেলে এথন ‘গ্রুপ অফ ডেথে’ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাভুমারা। নিজেদের ফর্ম ধরে রাখলে সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করতে পারে প্রোটিয়া দল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।