পড়শি দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হলে সবসময়ই তা বাড়তি গুরুত্ব পায়, হোক না সে প্রাক বিশ্বকাপ ওয়ার্ম আপ ম্যাচ। এক টানটান উত্তেজনাময় ম্যাচে কিউয়িদের শেষ ওভারে হারিয়ে বিশ্বকাপের আগে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস পাবে অ্যারন ফিঞ্চের দল।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মাটিতে কার্যত পর্যদুস্ত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড দুই দলই। তাই বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া দুই দলের কাছেই এদিন প্রধান লক্ষ্য ছিল। আবু ধাবিতে ম্য়াচে অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। মার্টিন গাপ্টিল (২০ বলে ৩০) এবং ড্যারেল মিচেল (২২ বলে ৩৩) কিন্তু শুরুটা বেশ দারুণভাবেই করেছিলেন। তবে গাপ্টিল আউট হওয়ার পর মিচেল রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ায় কিউয়ি ইনিংস কিছুটা থমকে যায়। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৩০ বলে ৩৭) স্বভাবচিত ভঙ্গিমায় ইনিংস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন।
তবে শেষ ছয় ওভারে মাত্র ৪৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ১৫৮ তেই খমকে যায়। তাও জিমি নিশাম (১৮ বলে ৩১) এক ধুয়াধার ইনিংস না খেললেও এই রানেও হয়ত পৌঁছাত না কিউয়িরা। কেন রিচার্ডসন তিন ও অ্যাডাম জাম্পা দুই উইকেট পান। জবাবে কিউয়িদের একেবারেই বিপরীতভাবে ইনিংস শুরু করে অজিরা। অত্যন্ত খারাপ ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান। ফিঞ্চ (১৯ বলে ২৪), মিচেল মার্শ (১৫ বলে ২৪), স্টিভ স্মিথ (৩০ বলে ৩৫), মার্কাস স্টইনিস (২৩ বলে ২৮), সকলেই স্টার্ট পেয়েও তাকে বড় রানে পরিবর্তিত করতে পারেননি।
মিডল অর্ডার রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ চাপে পড়ে যায় অজিরা। ম্যাচের শেষ তিন বলে তাদের দরকার ছিল আট রান। তবে ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমেই প্রথম দুই বলে দু'টো চার মেরে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে গেন জোস ইংলিশ। মিচেল স্টার্কও ব্যাট হাতে ছোট্ট ক্য়ামিও (৯ বলে ১৩) খেলেন। কিউয়িদের হয়ে মিচেল স্যান্টনার মাত্র ২২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। দুই উইকেট আসে ট্রেন্ট বোল্টের ঝুলিতে। অজিরা এর পরের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।