সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বাবর আজমদের। তা না হলে জিম্বাবোয়ের কাছেও হারতে হয়! ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচই ছিল একেবারে রুদ্ধশ্বাস। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে শেষ বলে হারতে হয় পাকিস্তানকে। দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। মাত্র ১ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। স্বাভাবিক ভাবেই এটা পাকিস্তান টিমের কাছে বড় ধাক্কা।
তবে পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। দেখা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তান কখনও কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতেনি। এখনও পর্যন্ত তারা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তার মধ্যে একটি ম্যাচও জেতেনি তারা। ৫টিতেই হেরেছে। একটি ম্যাচে কোনও রেজাল্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: হতাশায় ডুবে গেল পাক ড্রেসিংরুম, যন্ত্রণা বিদ্ধ বাবর- ভাইরাল ভিডিয়ো
বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেয় জিম্বাবোয়ে। শুরুটা খারাপ করেননি জিম্বাবোয়ের দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধভেরে, ক্রেগ এরভিন। কিন্তু বেশিক্ষণ টানতে পারেননি তাঁরা। জিম্বাবোয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন উইলিয়ামস। ২৮ বলে ৩১ করেন তিনি। বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে জিম্বাবোয়ে।
পাকিস্তানের মহম্মদ ওয়াসিম নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন শাদব খান। হ্যারিশ রউফ ১ উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাহুলকে সুইচ-অন করতে হবে-কুম্বলের কথায় ওপেনারের মানসিকতা নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন
১৩১ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তান বড় ধাক্কা খায় দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে। একমাত্র হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন শান মাসুদ। তিনি ৩৮ বলে ৪৪ করে আউট হন। তবে সিকান্দার রাজাই পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। শাদব খান এবং হায়দার আলিকে পরপর ফিরিয়ে তিনি জিম্বাবোয়ের দিকে ম্যাচের রাশ নিয়ে আসেন। তার পর তাঁর বলেই আউট হন শান মাসুদও। একটা সময়ে পাকিস্তান ৯৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেখান থেকে অবশ্য ৬ উইকেটে ১৯ ওভারে ১২০ রানে নিয়ে যায় নওয়াজ এবং ওয়াসিম। তবে শেষ ওভারে ঘটে গেল অঘটন।
এ দিনও রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে ১ রানে হারে পাকিস্তান। শেষ ওভারে জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হত ১১ রান। লড়াই করেছিলেন নওয়াজ আর ওয়াসিম। ১৯.৩ ওভারে পাকিস্তান ১২৮ রান করে ফেলেছিল। পরবর্তী ৩ বলে ৩ করলেই ম্যাচ জিতে যেত তারা। কিন্তু চতুর্থ বলে কোনও রান হয়নি। স্ট্রাইকে ছিলেন নওয়াজ। পঞ্চম বলে নওয়াজকে ফেরান ইভান্স। জিততে হলে শেষ বলে ৩ রান করতে হত। আর ২ করলে টাই হয়ে যেত। ষষ্ঠ বলে আফ্রিদি ১ রান পূরণ করেন। কিন্তু দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে পাকিস্তান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।