পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে পরপর দু'টি ম্যাচের হারের খেসারতই চলতি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে দিতে হল বিরাট কোহলির ভারতকে। রবিবার আফগানিস্তানের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড হারলে, তবেই ভারত সেমিফাইনালের ছাড়পত্র পেত। কিন্তু সে রকম কিছুই ঘটল না। বরং নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতে হাসতে হাসতে পাকিস্তানের সঙ্গে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল।
এ দিন আফগানিস্তানকে সমর্থন করছিল গোটা ভারত। কিন্তু নিরাশ করলেন আফগানরা। টসে জিতে প্রথমেই তারা ব্যাটিং নিল? কেন এই সিদ্ধান্ত জানা নেই। এই টুর্নামেন্টে দেখা গিয়েছে, সাধারণত পরে ব্যাট করেই জয় আসছে। যাই হোক ব্যাট করতে নেমেই আফগানিস্তান শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। ৫.১ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। চতুর্থ উইকেট পড়ে ৫৬ রানে। তবে নাজিবুল্লাহ জর্ডনের ৪৮ বলে ৭৩ রান হাত ধরে আফগানিস্তানেরর স্কোর ১০০ পার করে যায়। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত আফগানরা ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান গুলবাদিন নইবের। তাঁর সংগ্রহ ১৫। অধিনায়ক মহম্মদ নবি করেন ১৪ রান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের গণ্ডি টপকাতে পারেনি।
৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। টিম সাউদি নেন ২ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ২ উইকেট পড়লেও ১৮.১ ওভারে তারা ১২৫ রান তুলে নেয়। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে তারা সরাসরি পৌঁছে গেল সেমিফাইনালে। ছিটকে গেল ভারত।
বিরাট কোহলির টিম তো শুরুতেই নিজেদের লড়াইটা কঠিন করে ফেলেছিল। প্রথমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হার। তার পর নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে বিশ্রি হার। এই দুই ম্যাচ হেরেই ভারতের বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে নিউজিল্যান্ড যেহেতু নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছিল, তাই কোথাও একটা সুক্ষ্ম সম্ভাবনা ছিল। যদি নিউজিল্যান্ড পয়েন্ট নষ্ট করত, তবে হয়তো ভারতের সেমিতে যাওয়ার রাস্তাটা খুলত। কিন্তু ভারতের পর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ বাকি ছিল স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এদের কারও কাছে হারার মতো টিম নয় নিউজিল্যান্ড। তাও ‘যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ’। এই আশাতেই অপেক্ষা করেছিল ভারতের ক্রিকেট প্রেমীরা। কিন্তু রবিবার নিউজিল্যান্ড জেতায়,নামিবিয়া ম্যাচ খেলতে নামার আগে বিশ্বকাপে যাত্রা শেষ হয়ে গেল ভারতের।