ম্যাচ হেরে বাবর আজমের গলায় বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার বন্দনা!

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর আজম জানান, ‘বেশ কঠিন ম্যাচ আমরা খেলেছি। আমরা শুরুতে বেশ ভাল বোলিং করেছি‌। হার্দিক পান্ডিয়া এবং বিরাট কোহলিকে সমস্ত কৃতিত্ব দিতেই হবে (ম্যাচ ভারতকে জেতানোর জন্য)। ওরা মোমেন্টামটাই পুরো ঘুরিয়ে দিয়েছিল।'

শুভব্রত মুখার্জি: মেলবোর্নে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-12 পর্যায়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান দুই দল। মহারণের সাক্ষী থাকতে মেলবোর্নে উপস্থিত ছিল প্রায় ৯০ হাজরেরও বেশি দর্শক। সেই ম্যাচেই কার্যত এক 'থ্রিলারের' সাক্ষী থাকল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। দুই পক্ষের ২০ ওভারের ম্যাচ অর্থাৎ ৪০ ওভারের মধ্যে মোট ৩০ ওভার হয়ে যাওয়ার পরেও বোঝা যায়নি এই ম্যাচ ভারত জিততে পারে। কার্যত সেখান থেকেই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়া। অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন বিরাট। ম্যাচ শেষে বাবর জানান কঠিন ম্যাচ ছিল। আমরা শুরুতে ভালো বোলিং করি। তবে হার্দিক পান্ডিয়া বিরাট কোহলিকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর আজম জানান, ‘বেশ কঠিন ম্যাচ আমরা খেলেছি। আমরা শুরুতে বেশ ভাল বোলিং করেছি‌। হার্দিক পান্ডিয়া এবং বিরাট কোহলিকে সমস্ত কৃতিত্ব দিতেই হবে (ম্যাচ ভারতকে জেতানোর জন্য)। ওরা মোমেন্টামটাই পুরো ঘুরিয়ে দেয়। ম্যাচটা দারুণভাবে ওরা শেষ করেছে। নতুন বলে খেলাটা মোটেও সহজ কাজ নয়। বল অল্প অল্প সিম এবং সুইং করেছে। আমাদের সামনে সুযোগ ছিল। আমরা ছেলেদেরকে নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে বলেছিলাম। তবে তারপরেও বলব সমস্ত কৃতিত্ব বিরাট কোহলির। আমাদের একটা উইকেট দরকার ছিল। এই কারণেই আমি আমার প্রধান বোলারদের ব্যবহার করেছি (নওয়াজকে শেষ ওভারের জন্য রেখে দিয়েছিলাম)। ম্যাচে আমাদের জন্য অনেক পজিটিভ ছিল। যেভাবে ইফতিকার খেলেছে, শান যেভাবে খেলেছে এবং যেভাবে ইনিংসটা শেষ করেছে তা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'

পাকিস্তান এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে। দুই ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম এদিন কম রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শান মাসুদ ৪২ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রায় গোটা ইনিংস জুড়েই তিনি ব্যাট করেন। আক্রমণাত্মক ব্যাট করেন ইফতিখার আহমেদ। তিনি ৩৪ বলে ৫১ রান করেন। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে যায় ভারতীয় দল। ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের একটা সময় স্কোর ছিল ৩১ রান। রোহিত ৪, রাহুল ৪, সূর্যকুমার ১৫ এবং অক্ষর প্যাটেল ২ রান করে আউট হয়ে যান। এরপরেই হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গী করে ১১৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বিরাট কোহলি ভারতকে লড়াইতে ফেরান। ৩৭ বলে ৪০ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থেকে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন বিরাট কোহলি। এর মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিনও এক রানের একটি ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন এবং দীনেশ কার্তিক ১ রান করে আউট হয়ে যান।