একেবারে দক্ষযজ্ঞ বেঁধে গেল পাকিস্তান ক্রিকেটে। বিশ্বকাপে জোড়া হারের পর প্রাক্তনীদের তোপের মুখে পড়লেন বাবর আজম। ওয়াকার ইউনিস দাবি করলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। আবার ওয়াসিম আক্রমের দাবি, দলের স্বার্থে করাচি কিংসে বাবরকে তিনে নামতে বলেছিলেন। কিন্তু সেটা শুনতে রাজি হননি বাবর।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দুটি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান। যে দু'জন গত এক বছর ধরে পাকিস্তানের অধিকাংশ রান করে এসেছেন। বিশ্বকাপে তাঁরা ব্যর্থ চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। সেই রেশ ধরে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এ স্পোর্টসের একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের তারকা পেসার ওয়াকার বলেন, ‘বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সবধরণের পরিবর্তন করে দেখেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় মিডল অর্ডারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছি। সবথেকে সোজা জায়গায় ব্যাট করত দুই ওপেনার (বাবর এবং রিজওয়ান)। ১৪-১৫ ওভার খেলে চলে আসত।’
ওয়াকার আরও বলেন, ‘যখন আপনি অধিনায়ক হন, তখন নিজের জায়গা ছেড়ে দেন। হায়দার (আলি) যখন নীচের দিকে ব্যাটিং করে রান করতে পারছে না, ওকে এমন জায়গা দেব, যেখানে ব্যাট করা সহজ। অথবা ফখরকে ওপেনিংয়ে নামাব, যেখানে (ব্যাটিং করা) তুলনায় সোজা। আমরা (বাবর এবং রিজওয়ান) কোথাও সেটা চেষ্টা করিনি। আর সেটার ফল ভুগতে হচ্ছে এখন।’
সেখানেই থামেননি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার। তিনি বলেন, ‘ওরা যখন রান করে, তখনও কেন আমরা হেরে যাই? ওরা যেভাবে রান করে, (সেটার কারণে আমরা হেরে যাই)। আইসিসি ক্রমপর্যায়ে এক নম্বর বা দুই নম্বর হওয়া বড় বিষয় নয়। আসল বিষয়টা হল, আপনি যে রানটা করেছেন, সেটার জন্য কতবার জিতেছে আপনার দল? সেই পরিসংখ্যান দেখলে অত্যন্ত হতাশ হবেন।’
আরও পড়ুন: এখনই সব আশা শেষ হয়ে যায়নি, T20 WC 2022-এর সেমিতে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন হ্যারিস রউফ
একইসুরে ওয়াকারের প্রাক্তন বোলিং পার্টনার আক্রম বলেন, 'এটা একদম সর্বোচ্চ জায়গা থেকে শুরু হয়। একেবারে শীর্ষে থাকে দলের অধিনায়ক। সেখান থেকেই বোঝা যায়, কিছুটা নিজের জন্য খেলে অধিনায়ক তো এটা করতেই পারত যে আমার রান হয়েছে। এবার হায়দারকে ওপেনার হিসেবে চেষ্টা করে দেখি। একটি-দুটি ম্যাচে আমি তিনে নামব। সেটা থেকে বোঝা যায় যে (দলের জন্য) নিজেকে উৎসর্গ করতে তৈরি আছেন অধিনায়ক। এটাই বাবরের করা উচিত নয়।' আক্রমের কথার মধ্যেই ওয়াকারকে বলতে শোনা যায়, ‘বাবর একজন ইনসিকিওর।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘এটাই একজন অধিনায়ক এবং প্রকৃত নেতার মধ্যে পার্থক্য। এটাই পার্থক্য।’
আক্রম দাবি করেন, বাবর যে দলের স্বার্থে নিজের জায়গা ছাড়তে চান না, তার প্রমাণ আগেই পেয়েছেন। তিনি বলেন, 'বাবরের সঙ্গে আমার এই বিষয়টা হয়েছে। করাচি কিংসে আমাদের কয়েকটা মরশুম ভালো কাটেনি। অধিনায়ক হওয়ায় (যদিও পরে আক্রম সাফাই দিয়েছেন, সেইসময় অধিনায়ক ছিলেন না বাবর) এক থেকে দু'বার ওকে ভালোভাবে অনুরোধ করেছিলাম যে একটি বা দুটি ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করতে এবং গাপ্টিলকে ওপেনার হিসেবে নামানো হোক। ও বলেছিল যে আমি যাব না। তখন সার্জিলকে তিনে পাঠিয়েছিলাম। ও ওপেনার।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।