বাকি ছেলেরা কি সেখানে ছোলা বিক্রি করতে গিয়েছিল?১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে হঠাৎ কেন এমন বললেন পাকিস্তানের পেস বোলার ওয়াসিম আক্রম। আসলে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলেননি ওয়াসিম আক্রম। সেই বিষয় নিয়েই মাঝে মাঝে প্রশ্ন ওঠে। এবার সেই প্রশ্ন শুনে এবার চটলেন ওয়াসিম আক্রম।
যখনই ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বীতার কথা বলা হয় তখনই ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের কথা অবশ্যই বলা হয়। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৩৯ রানে হারিয়েছে ভারত। সেই ম্যাচে ভারতের ফাস্ট বোলার বেঙ্কটেশ প্রসাদ এবং পাকিস্তানের ওপেনার আমির সোহেলের মধ্যে যে ঝগড়া হয়েছিল তা সকলের অবশ্যই মনে রয়েছে। তবে সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আক্রম সেই ম্যাচে খেলেলনি।
আরও পড়ুন… হয়তো সুযোগ পাবেন না পাক ম্যাচে, কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা সম্বল করেই উত্তেজিত ঋষভ পন্ত
এই ম্যাচটি নিয়ে আরেকটি বিতর্ক হয়েছিল।২৬ বছর পর আক্রমকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার ক্ষোভ ছিল দেখার মতো। ওয়াসিম আক্রম খুবই শান্ত খেলোয়াড়,কিন্তু পাকিস্তানি নিউজ চ্যানেলের প্যাভিলিয়ন প্যানেল আলোচনায় যখন তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়,তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
আক্রম বলেছিলেন যে এই বিষয়টি তাকে অনেক কষ্ট দেয়,যখন পাকিস্তানিরা তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন। আক্রম বলেন,‘তোমাকে ঠাণ্ডা করি। আমি অনেক তরুণকে বলেছি গুজবে বিশ্বাস করবেন না। সেই সময় তোমাদের অনেকের জন্মও হয়নি। এটা খুবই লজ্জাজনক যখন একজন পাকিস্তানি আমাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে।’
ওয়াসিম আক্রম আরও বলেন,‘তিন দিন আগে আমি আহত হয়েছিলাম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমি ৩৪ রান করেছি। আমি ডিওন ন্যাশের বলে সুইপ শট দিতে গিয়েছিলাম।বলটা আমার বুকে এসে লেগে ছিল। এটা ঠিক করতে ছয় সপ্তাহ লেগেছিল। ওয়াকার বসে আছেন, আমরা প্রেসে এই কথা বলিনি যাতে ভারত আত্মবিশ্বাস না পায় যে তাদের প্রধান খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়েছে। সকালে ওয়াকারও দেখল,সবাই দেখল আমি ছয়টা পেইন কিলার ইনজেকশন দিয়েছি,কিন্তু কাজ হয়নি।’
ওয়াসিম আক্রম আরও বলেছেন,‘আমি যদি একই ইনজুরিতে খেলতাম, পুরো ১০ ওভার না করতাম,তাহলে ও আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা হত। তাহলে কি বাকি ইয়ারা সেখানে ছোলা বিক্রি করতে গিয়েছিল?’
ওয়াসিম আক্রম না খেললে পাকিস্তান ম্যাচ হেরে যায়। এরই ফাঁকে ওয়াকার ইউনিস বলেন, 'আপনার জায়গায় যেই খেলেছেন,আতাউর রহমান খেলেছেন। আর সে খুব ভালো বোলিং করেছে। সেই ম্যাচে আতাউর রহমান ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। ওই ম্যাচে পাকিস্তানের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।