২০০৮ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়েও সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়। দীর্ঘ ১৩ বছরের কেরিয়ারের একাধিকবার পরাজয়ের গ্লানি, হতাশা পার করে সাউদাম্পটনের মাঠে আবারও সেই টিম সাউদিই নিউজিল্যান্ড দলের খেতাব জয়ের নায়ক।
ভাগ্যচক্রে এতগুলো বছর আগে মালয়েশিয়ায় তরুণ ভারতীয় দলের হয়ে যে বিরাট কোহলি ট্রফি তুলেছিলেন, আজ সেই কোহলিই পরাজিত ভারতীয় সিনিয়র দলের অধিনায়ক।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে কিউয়ি দলের হয়ে গোটা টুর্নামেন্টে সর্বাধিক উইকেট (৫৬টি উইকেট) নিয়ে দলের জয়ের প্রধান কারিগর সাউদি। খেতাব জিতে আপ্লুত ৩২ বছর বয়সী কিউয়ি তারকা।
এক সাক্ষাৎকারে উচ্ছ্বসিত ও আবেগঘন সাউদি বলেন, ‘আমি যখন খেলা শুরু করি তখন আমি স্বপ্নেও ভাবিনি আমরা কোনদিন টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর দল হব। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জেতাটা এক বিশেষ মুহূর্ত। এই মুহূর্তটা আমাদের সকলের কাছে খুব আবেগঘন এবং খুব আনন্দের।’
অতীতে বারংবার তীরে এসেও তরী ডুবেছে নিউজিল্যান্ডের। গত দশকেই দুইবার ফাইনাল ও তিনবার সেমিফাইনালে পৌঁছেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল কিউয়িদের। অবশেষে অদৃশ্য দেওয়াল ভেদ করে আইসিসি ট্রফি হাতে তুলে নিতে সক্ষম হয়েছেন উইলিয়ামসনসহ গোটা নিউজিল্যান্ড দল। তবে শুধুমাত্র বর্তমান দলের খেলোয়াড়রাই নয়, কিউয়ি দলকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দিতে অতীতেরও বহু ক্রিকেটারের হাত রয়েছে বলেই মনে করছেন সাউদি।
‘বহুদিন ধরেই আমাদের এই সাফল্য প্রাপ্য ছিল। শুধু দুই বছর নয় অতীতেরও বহু ক্রিকেটার আমাদের দলকে বর্তমান জায়গায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। এই সাফল্যের অংশ হতে পারাটা আমার কাছে খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। দলের সকলেই এখন ঘোরে রয়েছে। তবে পরবর্তী এক-দুই দিনে সেই ঘোর কিছুটা কাটলে দেশে ফিরে নিভৃতবাসে থাকাকালীন আমাদের এই সফর নিয়ে আমরা বিচার বিবেচনা করব।’ বলেও জানান এই কিউয়ি ফাস্ট বোলার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।