বাংলা নিউজ > ময়দান > ফিটনেস নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে সচিন-সৌরভরা জাতীয় দলে সুযোগ পেতেন না, দাবি সেহওয়াগের

ফিটনেস নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে সচিন-সৌরভরা জাতীয় দলে সুযোগ পেতেন না, দাবি সেহওয়াগের

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণ ও সচিন তেন্ডুলকর।

বীরু মনে করেন যে, ক্রিকেটারদের স্কিলটাই আসল কথা, ইয়ো-ইয়ো টেস্টে ফেল করার জন্য কারও বাদ পড়া উচিত নয়।

শুধুমাত্র ক্রিকেটীয় স্কিল থাকলেই যে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মাঠে নামা যাবে, এমনটা নয় মোটেও। সাম্প্রতিক সময়ে ফিটনেস নিয়েও ভারতীয় দলের নির্দিষ্ট যোগ্যতামান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইয়ো-ইয়ো টেস্টে পাশ করতে না পারলে জাতীয় স্কোয়াডে নির্বাচিত হয়েও ছিটকে যেতে হতে পারে দল থেকে। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে বরুণ চক্রবর্তী, রাহুল তোওয়াটিয়াদের ক্ষেত্রে।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের জন্য ভারতীয় স্কোয়াডে নির্বাচিত হয়েও শেষমেশ মাঠে নামা হয়নি দুই আইপিএল তারকার।

টিম ইন্ডিয়ার ফিটনেস নিয়ে এমন বাড়াবাড়ির কথা তুলে ধরেই এক অনুরাগী বীরেন্দ্র সেহওয়াগের কাছে জানতে চান যে, বরুণরা যদি ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে না পারার জন্য স্কোয়াড থেকে ছিটকে যান, তবে হার্দিক ওয়ান ডে সিরিজে বল করার মতো অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে প্রথম একাদশে সুযোগ পান?

জবাবে বীরু স্পষ্ট জানান যে, ক্রিকেটে স্কিলটাই হল আসল বিষয়। দলে ঢোকার জন্য অন্য কিছুকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। তাঁর দাবি, যদি এখনকার মতো ফিটনেস টেস্টকে গুরুত্ব দেওয়া হতো, তবে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো ক্রিকেটাররা কখনও জাতীয় দলে সুযোগই পেতেন না। কেননা কিংবদন্ত এই ক্রিকেটাররা কোনওভাবেই ইয়ো-ইয়ো টেস্টে পাশ করতে পারতেন বলে মনে করেন না সেহওয়াগ।

অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তরে বীরু বলেন, ‘একটা কথা বলে রাখি যে, আমরা ইয়ো-ইয়ো টেস্ট নিয়ে আলোচনা করছি। হার্দিকের দৌড়নো নিয়ে সমস্যা নেই। ওর বিষয়টা বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ওয়ার্কলোডের। বরুণরা ইয়ো-ইয়ো টেস্টে পাশ করতে পারেনি। সেকারণেই ওরা দলে নেই।’

পরক্ষণে সেহওয়াগ বলেন, ‘তবে এই বিষয়ে আমি একমত নই। যদি আগে এরকম কিছু যোগ্যতামান রাখা হতো, তবে সচিন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা কখনই পাশ করতে পারত না। আমি কখনও ওদের বীপ টেস্টে পাশ করতে দেখিনি। ওরা সবসময় ১২.৫ পয়েন্টের পিছনে থাকত।’

শেষে বীরু বলনে, ‘স্কিল থাকাটা জরুরি। এখনকার দিনে যদি ফিট টিম মাঠে নামানো হয়, তাদের যদি স্কিল না থাকে, তবে ম্যাচ হারতে হবে। স্কিলের ভিত্তিতে মাঠে নামানো উচিত। পরে তাদের ফিটনেসে উন্নতি করার কথা বলা যায়। যদি কোনও ক্রিকেটার ফিল্ডিং করতে পারে এবং ১০ ওভার বল করতে পারে, তবে মাঠে নামার জন্য তাঁর অন্য কিছু নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই।’

রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।

বন্ধ করুন