বাংলা নিউজ > ময়দান > I-League: চার্চিলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে মহমেডান

I-League: চার্চিলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে মহমেডান

মহমেডান টিম।

বুধবার চার্চিল ব্রাদার্সকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে খেতাব জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখল মহমেডান। তবে আই লিগ জেতার অঙ্কটা তাদের খুবই জটিল। নিজেদের বাকি দু’টি ম্যাচ যেমন জিততেই হবে, তেমনই অন্য দলের পয়েন্ট নষ্টের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে মহমেডানকে।

মহমেডানের জন্য এখন সব ম্যাচই ফাইনাল। একটা ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করা মানেই খেতাবের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া। এই পরিস্থিতিতে সোমবার চার্চিলের বিরুদ্ধে বড় জয় পেল মহমেডান স্পোর্টিং। এ দিন ৪-১ গোলে গোয়ার দলকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা। পরের ম্যাচ গোকুলমের সঙ্গে। নিঃসন্দেহে চার্চিলের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে সাদা-কালো ব্রিগেডের।

 এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন পেড্রো মানজিরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে হীরা মণ্ডল এগিয়ে দেন মহমেডানকে। তবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন চার্চিলের লুকা মাজসেন। গোটা ম্যাচে ওই একটাই ভুল ছিল মহমেডানের। তার পর আর গোয়ার দলটিকে কোনও সুযোগই দেয়নি তারা। বিরতির পর আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় শঙ্করের দল। ৬৫ মিনিটে মহমেডানের ভ্যানলালবিয়া ছাংতে ব্যবধান বাড়ান। এর পর পেড্রো মানজি ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে পর পর দু’টি গোল করে ৪-১ করেন।

বড় ব্যবধানে এ দিনের ম্যাচ জিতলেও আফসোস কমছে না শঙ্করের। তিনি বলছিলেন, ‘রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৩-২ এগিয়েছিলাম আমরা। শেষ মুহূর্তে গোল না খেয়ে গেলে, এখন এত অঙ্কের হিসেব করতে হত না। অন্য দলগুলির পয়েন্ট নষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত না।’ রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাবের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করেছিল সাদা-কালো বাহিনী।

এদিকে পরের দু’টি ম্যাচে চোটের জন্য সম্ভবত কিনসলেকে আর পাওয়া যাবে না। জাতীয় দলের ডাক পেয়ে জামাল ভুঁইয়াও বাংলাদেশ ফিরে যাচ্ছেন। স্বদেশী ফুটবলাররাই এখন শঙ্করের ভরসা। বাকি আছে আরও দু'টি ম্যাচ। মহমেডান কোচ অবশ্য বলছেন, ‘টিমের সব ফুটবলারদের উপর আমার সমান আস্থা। দলের প্রত্যেকেই জানে পরের দু’টি

ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। মানসিক ভাবে প্রত্যেকেই তাই তৈরি।’

 

বন্ধ করুন