কথায় আছে ‘যাঁর শেষ ভলো, তাঁর সব ভালো’। বছরের শুরুটাই যেমন খুব একটা ভাল কাটেনি শ্রেয়স আইয়ারের। অথচ বছরের শেষের দিকে সাফল্য যেন তাঁর পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছে। মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কাঁধে চোট পাওয়ার পর বেশ অনেকটা সময় মাঠের বাইরেই কাটাতে হয়েছিল শ্রেয়সকে। চোটের জেরে কাঁধে অস্ত্রোপ্রচারও করতে হয় তাঁকে। তবে চোট সারিয়ে উঠে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বেশ ভাল ছন্দে ছিলেন শ্রেয়স। আর এ বার কানপুরে অভিষেক টেস্টে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শ্রেয়স।
কানপুরে সেঞ্চুরি করার পর উচ্ছ্বসিত শ্রেয়স নিজেও। তিনি টুইটে দাবি করেছেন, এই টেস্টের প্রথম দু'টো দিন তিনি সারা জীবন মনে রাখবেন। এই দিন দু'টোকে তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না। শ্রেয়সের মতে, ‘সুনীল গাভাস্কর স্যারের কাছ থেকে আমার টেস্ট ক্যাপ নেওয়া থেকে শুরু করে লাল বলের ক্রিকেটে আমার দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা পর্যন্ত, আমি এই দু'টি দিন আমার গোটা জীবনের স্মৃতি। সকলের শুভেচ্ছা, ভালোবাসা এবং অসাধারণ সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’ আসলে এই স্মৃতি এখন তাঁর গোটা জীবনের লড়াইয়ের বড় রসদ। এমনটাই মনে করেন শ্রেয়স নিজেও।
আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ভালো পারফরম্যান্স করলেও, ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে পুনরায় ভারতীয় দলে ফিরলেও সে ভাবে ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
কিন্তু বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের অনুপস্থিতিতে এবং কেএল রাহুলের চোটের কারণে হঠাৎ করেই কানপুর টেস্টের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে যান শ্রেয়স। আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি শ্রেয়স। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ১০৫ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন শ্রেয়স। তাঁর ইনিংসেই ভর করে ৩৪৫ রানে পৌঁছায় ভারত। শুভমন গিল ৫২ এবং রবীন্দ্র জাদেজা ৫০ করেন। এ ছাড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন করেছেন ৩৮ রান। বাকিরা কিন্তু সে ভাবে ভারতকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। সেখানে শ্রেয়সের সেঞ্চুরি ভারতের কাছে বড় মুলধন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।