হায়দরাবাদের পিচে অস্ট্রেলিয়ার ১৮৬ রানটা মোটেও খারাপ স্কোর ছিল না। তার উপরে দুই ওপেনার দ্রুত ফিরে যায়। ৩০ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে প্রত্যাঘাতটা করেন বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদব।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করতে নেমে কোহলি যথেষ্ট আগ্রাসী আর ইতিবাচক ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করেছিলেন। কিন্তু সূর্যকে মারতে দেখে নিজেকে একটু নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। সূর্যকুমার রবিবার একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। দু’জনের জুটিতে উঠল ১০৪ রান। কোহলি করল ৪৮ বলে ৬৩। সূর্যকুমারের সংগ্রহ ৩৬ বলে ৬৯।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ স্কোরার সূর্যকুমারই। ৩ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১১৫ রান। সর্বাধিক রান ৩৬ বলে ৬৯। যেটা হায়দরাবাদে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেছেন। গড় ৩৮.৩৩। স্ট্রাইক রেট ১৮৫.৪৮। ম্যাচের সেরা হয়ে তৃপ্ত স্কাই।
আরও পড়ুন: অনেক জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন, বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে- অজিদের হারিয়েও চিন্তায় রোহিত
ম্যাচের পর সূর্যকুমার বলেন, ‘পরিস্থিতি যা ছিল, তাতে চালিয়ে খেলতেই হত। ভেবে চিন্তেই ঝুঁকি নিয়েছি। দু’তিনটে শট মাথায় ছিল। মিড অফ এলাকা দিয়ে বল মারার চেষ্টা করেছি। এ রকম ভাবনা নিয়েই সব ম্যাচ খেলি। এ ভাবেই নিজেকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। অনুশীলনে এ ভাবে ব্যাট করার চেষ্টা করি।’
নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও খুশি ভারতীয় দলের তরুণ ব্যাটার। সূর্যকুমার বলেছেন, ‘চার নম্বরে ব্যাট করতে ভালোবাসি। এই জায়গায় ব্যাট করা যেমন চ্যালেঞ্জের, তেমনই দায়িত্বেরও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই খেলছি। নিজেকে যতটা সম্ভব প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। গুটিয়ে থেকে লাভ নেই। সাহসী ক্রিকেট খেলতে চাই।’
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই ক্যামেরন গ্রিন আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। মাত্র ১৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন গ্রিন। শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৫২ রান করে আউট হন তিনি। এর বাইরে অজিদের প্রথম সারির অন্য কোনও ব্যাটারই হায়দরাবাদের ২২ গজে সফল হলেন না। অন্য ওপেনার তথা অধিনায়ক ফিঞ্চ (৭), স্টিভ স্মিথ (৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬) দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন।
আরও পড়ুন: ম্যাচ শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে কেন একাই স্টেডিয়ামে চলে এসেছিলেন? খোলসা করলেন কোহলি
পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অজিরা। পরে অস্ট্রেলিয়ার কিছুটা গতি দেওয়ার চেষ্টা করেন জস ইংলিস এবং টিম ডেভিড। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৩১ রান। ২৪ রান করে অক্ষরের বলে আউট হন ইংলিস। রান পেলেন না ম্যাথু ওয়েডও (১)। তাঁকেও ফেরালেন অক্ষর। এর পর স্যামসকে নিয়ে দলের ইনিংস টানলেন ডেভিড। ২৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন ডেভিড। স্যামস অপরাজিত থাকলেন ২০ বলে ২৮ করে। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ১৮৬ রানে।
জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ব্যর্থ হন ভারতের দুই ওপেনারই। প্রথমেই আউট হন সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (১)। অধিনায়ক রোহিত ভাল শুরু করেও ১৪ বলে ১৭ রান করে কামিন্সের বলে সাজঘরে ফেরেন। দলের ইনিংসের হাল ধরলেন প্রাক্তন অধিনায়ক কোহলি।
দুবাইয়ের পর তাঁকে আবার চেনা মেজাজে দেখা গেল নিজামের শহরে। ২২ গজে তাঁকে সঙ্গ দিলেন সূর্যকুমার যাদব। কোহলি যথেষ্ট আগ্রাসী আর ইতিবাচক ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করেছিল। কিন্তু সূর্যকে মারতে দেখে নিজেকে একটু গুটিয়ে নিল। এক রান নিয়ে সূর্যকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল। সোজা কথায়, ভারতের তরুণ ব্যাটসম্যানকে খেলাচ্ছিল কোহলি। দু’জনের জুটিতে উঠল ১০৪ রান। কোহলি করল ৪৮ বলে ৬৩। সূর্যকুমারের সংগ্রহ ৩৬ বলে ৬৯। পরে হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৬ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থেকে ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।