বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ নিঃসন্দেহে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের তারকা স্পিনারকে সামলানোর জন্য অজিরা নিজেদের প্রস্তুতি ভালো ভাবেই সেরেছেন। স্পিনিং ট্র্যাক বেছে নিয়ে সেখানে লাগাতার অনুশীলন করেছেন। পাশাপাশি ‘নকল’ অশ্বিনকে এনে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি শিবিরে রয়েছেন নকল অশ্বিন। একই বোলিং অ্যাকশন, একই ঘূর্ণি রয়েছে নকল অশ্বিনের হাতেও। যিনি স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারদের নেটে অনুশীলন করাচ্ছেন। ভারতের বিরুদ্ধে এই মিস্ট্রি স্পিনারই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণি সামলানোর জন্য ছক তৈরি করে দিচ্ছে কামিন্সের দলকে। গুজরাটের স্পিনারের আসল নাম মহেশ পিথিয়া। ২১ বছর বয়সী এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন হুবহু রবি অশ্বিনের মতোই। তাঁর বিরুদ্ধে নেটে খেলে ভারতীয় স্পিনারদের সামলানোর ছক তৈরি করে ফেলেছে অজিরা।
আরও পড়ুন: অশ্বিনকে মোকাবিলা করার সব সরঞ্জাম আমাদের কিট ব্যাগে রয়েছে- আত্মবিশ্বাসী স্মিথ
মহেশ গত এক সপ্তাহ ধরে লাইমলাইটে রয়েছেন। মঙ্গলবার নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ভারতীয় দলের অনুশীলনের সময় মহেশ তাঁর আইডল অশ্বিনের সঙ্গে দেখা করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন। ২১ বছরের স্পিনার জানান যে, কী ভাবে তিনি প্রথম দিনেই চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে আউট করেছিলেন। অশ্বিনের সঙ্গে দেখা করার পর এবং বিরাট কোহলির থেকে উষ্ণ ব্যবহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত মহেশ।
তিনি পরে পিটিআই-কে বলেন, ‘প্রথম দিনে আমি স্মিথকে নেটে ৫-৬ বার আউট করেছিলাম। আর আজ (মঙ্গলবার) আমি আমার আইডলের কাছ থেকে আশীর্বাদ পেয়েছি। আমি সব সময়ে ওঁর মতো বোলিং করতে চেয়েছিলাম। যখন উনি নেটে ঢুকছিলেন, তখন আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করি। আমি ওঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে ওঁর আশীর্বাদ চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার পর জিজ্ঞেস করলেন, আমি অস্ট্রেলিয়ানদের ঠিক কী বোলিং করেছি। বিরাট কোহলিও আমার দিকে হাসলেন এবং থাম্বস আপ করলেন এবং আমাকে শুভকামনা জানালেন।’
আরও পড়ুন: নাগপুরে ক'জন স্পিনার খেলাবে ভারত, নিজে কোথায় ব্যাট করতে চাইছেন,খোলসা করলেন রাহুল
ডিসেম্বরে আইপিএল নিলামে অবিক্রিত হওয়া মহেশ বলেছেন, তাঁর বর্তমান লক্ষ্য বরোদার রঞ্জি ট্রফি দলে নিজের জায়গা নিশ্চিত করা। নিজের রোল-মডেলের মতো মহেশের অস্তিনেও কৌশলের একটি ধামাকা রয়েছে। এবং তিনি স্বীকার করেছেন, স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, মার্নাস ল্যাবুশেন এবং অন্যান্য অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে তাঁর এই প্রশিক্ষণ ক্যারিয়ার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
মহেশ বলেন, ‘আমি ক্যারাম বল বা দুসরা বোলিং করি না। আমার স্টক বল বলতে মূলত অফ ব্রেক। এবং অন্য একটি বল যা আমি নিজে তৈরি করেছি, তাতে কিছুটা ব্যাকস্পিন আছে। আমি সাদা বলের ক্রিকেটে বোলিং করি…অস্ট্রেলিয়া টিমের সঙ্গে কাজ করাটা অসাধারণ। আমার কাজ ছিল, মূলত অস্ট্রেলিয়ার নেটে স্টিভ স্মিথকে বল করা। তবে তিনি আমাকে নির্দিষ্ট কিছু বল করতে বলেননি।’
নাথান লিয়নের থেকে মহেশ টিপস পেয়েছেন। মহেশ বলছিলেন, ‘লিয়ন প্রথমে আমাকে আমার গ্রিপ দেখাতে বলেছিলেন এবং আঙুল ঘোরানোর সময় আমি কী করি, তা ব্যাখ্যা করতে বলেছিলেন। তার পর তিনি বুঝিয়ে দেন, কী ভাবে আমি বলের উপর আরও রেভ (ঘূর্ণন) পেতে পারি এবং আমার সামনের পা (বাম) কী ভাবে ফেলা উচিত। আমি ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওদের দলের সঙ্গে আছি। এটি আমার জীবনে বড় প্রাপ্তি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।