বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে পরপর দু’টো টেস্টে হারল প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। যদিও দিল্লি টেস্টে অজিরা আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন অস্ট্রেলিয়ার সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন।
ম্যাচ হেরে আক্ষেপের সুরে কামিন্স বলছিলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, এই পিচে ২৬০ রানটা ঠিকঠাক ছিল। ছেলেরা ভালো ভাবে বাউন্স ব্যাক করেছে। আমি মনে করি, ভারত ভালো ব্যাটিং করেছে। মাত্র এক বা দু'টো পার্টনারশিপই ২৬০ রান ছুঁয়ে ফেলতে পারে। ইনিংস বিরতিতে সব ঠিকই ছিল। তবে আমি হতাশ, আমরা ম্যাচে এগিয়ে ছিলাম ঠিকই, কিন্তু ম্যাচ যত এগিয়েছে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের আলোচনা করা দরকার, কোথায় সমস্যা হচ্ছে।’
কোটলায় দ্বিতীয় দিনে নাথান লিয়নের আগুনে পারফরম্যান্সে কিছুটা আশা দেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। এমন কী একটা সময়ে এমনও মনে হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়া বধ করার স্ট্র্যাটেজি কি এ বার ভারতের কাছে বুমেরাং হবে! তবে অশ্বিন-অক্ষর প্যাটেলের অনবদ্য লড়াইয়ে কোনও মতে হালে পানি পায় ভারত। তাতেও অজিরা প্রথম ইনিংসে ১ রানের লিড পায়। নাগপুরে বাজে ভাবে হারের পর, দিল্লিতে প্রথম ইনিংসের লিড আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলো প্যাট কামিন্সদের।
আরও পড়ুন: সকালে অশ্বিন-জাদেজার সঙ্গে কথা হয়েছিল- অজি বধের রহস্য ফাঁস করলেন রোহিত
যে কারণে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিল ট্রেভিস হেড। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেখান থেকে রবিবার সকালেই ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে অজিরা একের পর এক উইকেট হারিয়ে কোণঠাঁসা হয়ে পড়ে। দেওয়ালে পিঠ ঢেকে যায় তাদের।
রবিবার সকালে অজিদের ব্যাটিং লাইন আপ ভাঙতে শুরু করেন অশ্বিন। বাকি কাজটা করেন জাদেজা। রবিবার আর মাত্র ৫২ রান স্কোরবোর্ড যোগ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ১১৩ রানেই তারা অলআউট হয়ে বসে থাকে। জাদেজা নেন ৭ উইকেট এবং অশ্বিনের ঝোলায় আসে ৩ উইকেট। ১১৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ পকেটে পুড়ে পেলে ভারত। জয় তুলে নিলো ভারত।
আরও পড়ুন: ৪২ রানে ৭ উইকেট- ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং জাদেজার, অসহায় আত্মসমর্পণ অজিদের
ভারতে আসার আগে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলো অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। উপমহাদেশেও প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে ভালোই পারফরম্যান্স করেছিল তারা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্র করে। ভারতে এসেই অজিদের সাফল্যের রথ যেন থমকে গিয়েছে। নাগপুরে ইনিংস ও ১৩২ রানে হারের পর দিল্লীতেও হার ৬ উইকেটে।
যে কারণে হতাশায় ডুবে কামিন্সকে বলতে শোনা যায়, ‘খেলা প্রত্যেকের নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিছু বলে আপনার নাম লেখা থাকে, কিছু করার থাকে না তখন। তবে শট নির্বাচন নিয়েও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আমরা কী সব ঠিকঠাক করলাম? ভাবা দরকার। দু'টি ম্যাচই হতাশাজনক ছিল। বিশেষ করে দিল্লিরটা। আমরা এগিয়ে ছিলাম খেলায়। ভারতে খুব বেশী বার এমন হয় না। এই হার কষ্ট দিচ্ছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।