আমদাবাদ টেস্টে রান পেয়ে স্বস্তি ফিরল বিরাট কোহলির। মাত্র ১৪ রানের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া হলেও আক্ষেপ নেই তাঁর। বরং দীর্ঘ দিন পর নিজের মতো ব্যাটিং করতে পেরে খুশি কোহলি। সেই সঙ্গে ম্যাচের সেরা হওয়াটা তাঁর কাছে বোনাস। আমদাবাদ টেস্টে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়ে তিনি নজিরও গড়ে ফেললেন।
বিরাট কোহলি প্রথম ক্রিকেটার যিনি ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাট অর্থাৎ টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টিতে কম করে ১০ বার করে ম্যাচের সেরা হওয়ার নজির গড়লেন। সোমবার আমদাবাদে ম্যাচের সেরা হয়ে ষোলকলা পূর্ণ হল তাঁর। এই নজির এখনও পর্যন্ত আর কোনও ক্রিকেটারের নেই।
আমদাবাদের ২২ গজে ব্যাট করে সন্তুষ্ট ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি ১৮৬ রান করে ভারতের স্কোর ৫৭১-এ নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন। সোমবার ম্যাচের পর কোহলি বলেছেন, ‘এক জন খেলোয়াড় হিসেবে নিজের কাছে যে প্রত্যাশা থাকে, সেটা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যে ভাবে খেলতে চাই, সে ভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারছিলাম না। গত ১০ বছর যে ভাবে খেলেছি, তেমন খেলতে পারছিলাম না। তাই একটু সময় নিচ্ছিলাম। আগের মতো খেলার চেষ্টা করছিলাম। নাগপুরের প্রথম ইনিংসেই বুঝতে পেরেছিলাম, অনেকটা ভাল ব্যাট করছি।’
আরও পড়ুন: কেমন লাগছে ২২ দিনের পিচে খেলা দেখতে- আমদাবাদের উইকেট নিয়ে সরব প্রাক্তনীরা
বড় রান পেয়ে খুশি কোহলি। উচ্ছ্বাস চেপে না রেখে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকে দলের জন্য যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করা। সব সময় উইকেটে থাকার চেষ্টা করি। একটা পর্যায় পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারলেও আগের মতো পারছিলাম না কিছু দিন। এ জন্য কিছুটা হতাশ লাগছিল। এই টেস্টটা আবার আগের মতো করে খেলতে পেরে ভাল লাগছে। যে ভাবে চেয়েছিলাম, সে ভাবেই খেলতে পেরেছি। ভাল লেগেছে অনেক ভাল রক্ষণ করতে পারায়। বলতে পারেন নিজের খেলায় আমি খুশি। কাউকে ভুল প্রমাণ করার ছিল না। কেন মাঠে নামছি, সেটা নিজের কাছে আরও যুক্তিগ্রাহ্য করতে চাইছিলাম।’
আরও পড়ুন: কোহলি যে ভাবে রান নিচ্ছিলেন,মনে হয়নি অসুস্থ- অনুষ্কার দাবি কার্যত অস্বীকার অক্ষরের
প্রসঙ্গত, বর্ডার গাভাসকর ট্রফি ভারতের দখলেই থাকল। আমদাবাদে চতুর্থ টেস্ট ড্র হতেই ২-১ ফলে সিরিজ জিতে নিল ভারত। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সিরিজ জিতেছিল ভারত। এ বার দেশের মাটিতেও সিরিজ জিতে ভারতের দখলেই রইল এই ট্রফি। ম্যাচের শেষ দিনে ১৭৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। তার পরেই নির্দিষ্ট সময়ের আগে ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই দলের অধিনায়ক।
আমদাবাদের পাটা পিচে প্রথম দিন থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন দুই দলের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। উসমান খোয়াজা ও ক্যামেরন গ্রিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে ছিল অজিরাই। তবে পাল্টা ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকান শুভমন গিল। সাড়ে তিন বছরের খরা কাটিয়ে সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলিও। চতুর্থ টেস্টে নজরকাড়া ব্যাটিং করেন অক্ষর প্যাটেল ও শ্রীকর ভরত। ৫৭১ রান তোলে ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয়। তখনই বোঝা হয়ে গিয়েছিল, ম্যাচটি ড্র হতেই চলেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।