অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্নে টেস্ট অভিষেক থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বার্মিংহ্যাম টেস্ট পর্যন্ত ২১টি টেস্ট ইনিংসে ৭ বার ৪০ রানের গণ্ডি টপকান শুভমন গিল। চারটি হাফ-সেঞ্চুরি করলেও তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারছিলেন না কোনওভাবেই। অবশেষে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে চলতি আমদাবাদ টেস্ট পর্যন্ত শেষ ৬টি ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি করলেন শুভমন। টেস্টের আঙিনায় নিজেকে কীভাবে পরিণত করে তুলছেন গিল, সহজ সরলভাবে নিজেই সেই রহস্য ফাঁস করলেন টিম ইন্ডিয়া তরুণ ওপেনার।
চলতি আমদাবাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩৫ বলে ১২৮ রান করে আউট হন গিল। তৃতীয় দিনের শেষে স্টার স্পোর্টসের সাক্ষাৎকারে গিল এমনভাবে নিজের ক্রিকেট দর্শন উপস্থাপন করেন, পাশে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে শুনতে দেখা যায় সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তিকে।
দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারে লিয়নকে ছক্কা হাঁকানো শুভমন তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় রক্ষণের মোড়কে ঢেকে রাখেন নিজেকে। এমন মেজাজ বদলের কারণ জানতে চাওয়া হলে গিল বলেন, ‘জানি না আবার কবে ভারতে এত ভালো পিচ পাব। তাই অকারণে মারতে গিয়ে আউট হব না ঠিক করেছিলাম। কোনওভাবেই নিজের উইকেট ছুঁড়ে দেব না বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। চেষ্টা করছিলাম কীভাবে সিঙ্গল আদায় করা যায়। ভালো বলকে ডিফেন্স করব স্থির করেছিলাম।’
শুভমন ৮০ থেকে ৯০ রানে পৌঁছন ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে। তিনি ৯২ থেকে ৯৬ রানে পৌঁছে যান লিয়নকে চার মেরে। শেষে মার্ফিকে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন। শতরানে পৌঁছনোর তাড়া ছিল কিনা মজার ছলে সেকথা জানতে চাওয়া হলে শুভমন বলেন, ‘আসলে সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে প্রতিপক্ষ দল আক্রমণ করে ওই সময়। ফিল্ডার উপরে তুলে নিয়ে আসে। সামনে ফিল্ডার থাকলে আমার সুবিধাই হয়। লেগ সাইডে বল করছিল। সামনে ফিল্ডিং ছিল। আমার মনে হয়েছিল যে, ডিফেন্স করার থেকে মেরে দেওয়া ভালো।’
যদিও নিজের ইনিংসকে আরও টেনে নিয়ে যেতে না পারার আক্ষেপ শোনা যায় গিলের গলায়। তিনি বলেন, ‘আজ যদি নট-আউট থাকতে পারতাম, তবে কাল এসে ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়া যেত। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, আউট হয়ে বসায় সেটা আর সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন:- ফের বিতর্কে ‘বদমেজাজি’ ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান, টুপি দিয়ে মারধর করলেন ভক্তকে- ভিডিয়ো
নিজেকে বড় ইনিংসের জন্য কীভাবে প্রস্তুত করেন সে প্রসঙ্গে গিল বলেন, ‘আমি বারবার ৪০-৫০ রানে আউট হচ্ছিলাম। তখন মাইন্ডসেটটা বাড়তি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ছিল। সেট হয়ে যাওয়ার পরে মনে হতো আমাকে বড় রান করতে হবে। তাই স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছিলাম না। পরে নিজেকে বোঝাই যে, সেট হয়ে বাড়তি কিছু করার দরকার নেই। বাড়তি রক্ষণাত্মক হওয়ারও প্রয়োজন নেই। যেমন চলছে, সেই ছন্দে ব্যাট করাই ভালো। শেষমেশ সেভাবে ব্যাট করেই সাফল্য আসে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।