সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সফরে টিম ইন্ডিয়ার ইতিবাচক দিক রয়েছে প্রচুর। তবে বেশ কিছু নেতিবাচক বিষয়ও চোখে পড়েছে, যা খুশি করবে না ভারতীয় সমর্থকদের। চোখ রাখা যাক তেমনই পাঁচটি খারাপ দিকে।
1/5বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় দলের সব থেকে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল মীরপুর টেস্টে কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে দেওয়া। চট্টগ্রাম টেস্টে ৪০ রান ও ইনিংসে ৫ উইকেট-সহ সাকুল্যে ৮টি উইকেট সংগ্রহ করে কুলদীপ ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচত হন। তবে মীরপুরে পরের টেস্টেই কম্বিনেশনের দোহাই দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয় কুলদীপকে। ম্যাচের সেরা হয়েই যদি বাদ পড়তে হয়, তবে ভালো খেলেও প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগতে পারেন নবাগত ক্রিকেটাররা। ছবি- এপি।
2/5বোলার হিসেবে মহম্মদ সিরাজ প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে যে সিরাজের প্রতি বিন্দুমাত্র ভরসা করা যায় না, সেটা বোঝা গিয়েছে বাংলাদেশ সফরের ওয়ান ডে ও টেস্ট সিরিজে। দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে রোহিতকে সামান্য সাহায্য করতে পারলেও ভারত ম্য়াচ জিততে পারত। মীরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসেও উনাদকাটকে সঙ্গে দেওয়ার বদলে অবিবেচকের মতো আউট হন সিরাজ। ছবি- এএফপি।
3/5উইকেটকিপার হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে লোকেশ রাহুলকে ব্যবহার করা কতটা ঝুঁকির, সেটা বোঝা গিয়েছে বাংলাদেশ সফরের ওয়ান ডে সিরিজে। চাপের মুখে ভুল করার প্রবণতা রয়েছে রাহুলের মধ্যে। সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্য়াচে মেহেদি হাসান মিরাজের সহজ ক্যাচ না ছাড়লে ভারত ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ত। কেননা রাহুল ক্যাচ ধরলে বাংলাদেশ তখনই অল-আউট হয়ে যেত। সেক্ষেত্রে সিরিজ জিততে পারত টিম ইন্ডিয়া। ছবি- বিসিসিআই।
4/5বাংলাদেশ সফরের ওয়ান ডে সিরিজে ওপেনার হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ শিখর ধাওয়ান। তিন ম্যাচে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ৭, ৮ ও ৩ রান। তৃতীয় ম্য়াচে সুযোগ পেয়েই ডাবল সেঞ্চুরি করেন ইশান কিষাণ। তাঁকে আগে খেলালে উইকেটকিপারের সমস্যাও মিটত নিশ্চিত। ছবি- এপি।
5/5ওয়ান ডে সিরিজে ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন লোকেশ রাহুল। বাকি বাংলাদেশ সফরে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ তিনি। তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচে রাহুলের ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ৭৩, ১৪ ও ৮ রান। ২টি টেস্টের ৪টি ইনিংসে রাহুল করেছেন ২২, ২৩, ১০ ও ২ রান। টেস্ট সিরিজে ক্যাপ্টেন হিসেবে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি লোকেশ। ছবি- এএফপি।